হ্যাপি আক্তার : ঈদের বাজারে নতুন পোশাকের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী রেশমপল্লির। আবহাওয়া বিবেচনা করে নারী ও পুরুষের পোশাকে রং ও ডিজাইনে নতুনত্ব এনেছে কারিগররা। পোশাকপ্রিয় এসব মানুষের কথা চিন্তা করে ঈদকে ঘিরে সিল্ক পণ্যের নানা পসরা নিয়ে নিজেদের শোরুম সাজিয়ে তুলেছে রাজশাহীর সিল্ক হাউসগুলো। হাতের নাগালে ঈদ চলে আসায় রাজশাহী নগরীর বিসিক এলাকায় অবস্থিত সিল্কের শোরুমগুলো ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে। সকাল থেকে গভীর রাত অবধি চলছে কেনাকাটা। রাজশাহী সিল্কের সুনাম থাকায় স্থানীয়রা ছাড়া বাইরের থেকেও ক্রেতারাও আসছেন শোরুমগুলোতে। একুশে টিভি।
এবারের রমজান মাসের প্রায় পুরোটাই রয়েছে উষ্ণ। এই গরমের মধ্যে ঈদের আনন্দ যেন অস্বস্তিকর না হয়, সিল্কের শাড়ি, থ্রিপিস, পাঞ্জাবি ও বাচ্চাদের পোশাক তৈরিতে সেদিকটি লক্ষ্য রেখেছেন রাজশাহীর রেশম ব্যবসায়ীরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ক্রেতাদের রুচি, চাহিদা এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের কথা মাথায় রেখে নতুন নতুন পণ্যে তাঁরা সাজিয়ে তুলেছেন শোরুমগুলো।
রাজশাহী সিল্ক মানে তুতগাছ থেকে পাওয়া গুটি সুতা দিয়ে তৈরি রেশম কাপড়, এমনটা আর এখন নেই। দেড় দশক ধরেই রাজশাহী সিল্কের যেসব পোশাক বাজারে পাওয়া যায়, তা তৈরি হয়ে থাকে বিদেশি সুতা দিয়ে। ম‚লত চীন থেকে আসা সুতা দিয়ে তৈরি হয় রাজশাহী সিল্ক। তবে সুতা বাইরে থেকে এলেও রাজশাহীর কারিগরদের হাতের নিপুণ কাজ মন জয় করে অগণিত মনকে।
নগরীর সিল্ক শোরুমগুলোতে দেখা যাবে, রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী সিল্কের শাড়ি, পাঞ্জাবি, শেরওয়ানি, থ্রিপিস, শার্ট, হিজাব, ওড়না, স্কার্ফ প্রভৃতি পোশাক বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা ব্যস্ত তাঁদের পছন্দের পোশাক পছন্দ করতে। বিক্রেতারা ব্যস্ত ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পোশাক দেখাতে।
রাজশাহী সিল্ক ব্যবসায়ীরা বলেন, অন্যবারের মতো এবার ঈদেও ব্যবসা ভালো হচ্ছে। শাড়ি, পাঞ্জাবি, শেরওয়ানি, থ্রিপিস, শার্টসহ বিভিন্ন পোশাক বিক্রি হচ্ছে। বলাকা, মক্কা, কাতান, ছিপ কাতানসহ বিভিন্ন নামের শাড়ি এক হাজার থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। পাঞ্জাবি এক হাজার থেকে সাত হাজার টাকা, শেরওয়ানি আট হাজার থেকে ২৫ হাজার, থ্রিপিস এক হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সিল্কের থ্রিপিস, হিজাব, ওড়না, স্কার্ফ এবং মসলিন, মটকা, তসর কাতান, বলাকা কাতান, সাটিং সিল্ক ও এন্ডি প্রিন্টের শাড়ি বিক্রি হচ্ছে রাজশাহী সিল্ক ফ্যাশনের শোরুমে। সম্পাদনা : এইচ এম জামাল