মুহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, ঢাবি : বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) বাজেট অধিবেশন ও দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী সভায় আজীবন সদস্যপদ পেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এতে সম্মতি প্রদান করেন নি সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুলহক নুর ও সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন। ভিপি নুরুলহক নুরের স্বাক্ষর ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদের সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়ে ডাকসু সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানি স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করেছেন।
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী সভায় ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদের প্রস্তাব তোলা হয়। প্রস্তাবে অন্যদের সম্মতি থাকলেও ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদক ভিন্নমত পোষণ করেন। রাব্বানী কর্তৃক প্রদত্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুলহক নুর বলেন, আমরা সবাই জানি ১১ মার্চের ডাকসু নির্বাচন একটি বিতর্কিত নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। বিতর্কিত নির্বাচনে ডাকসুও এখন কলঙ্কিত। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এমন কলঙ্কিত নির্বাচনের ডাকসুতে আজীবন সদস্য হোক এটা আমি চাইনি। তাই আমি এবং ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন এই প্রস্তাবে সমর্থন জানাইনি এজন্য ঐ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করিনি। তিনি আরো বলেন,‘ডাকসুর জিএস আমাদের মতামত উপেক্ষা করেই এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। তবে তিনি ও সমাজসেবা সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর বিষয়টি ছাড়া বাকি প্রস্তাবগুলোতে সমর্থন ছিল বলে জানান।’
তবে জিএস গোলাম রাব্বানী এ বিষয়ে বলেন, ‘সবার সম্মতিক্রমে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে। সভায় যখন প্রস্তাবটি আনা হয়েছিল ভিপি এ বিষয়ে কিছু বলেন নি। তিনি কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য প্রদান করেন নি।’ শুধু বের হওয়ার বিক্ষিপ্ত কিছু কথা বলেছেন বলে তিনি জানান। উক্ত সভায় গৃহীত অন্যান্য সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে ছিল, ‘ ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের জন্য ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকার বার্ষিক বাজেট। ক্যাম্পাসে গণপরিবহন ও রিক্সাভাড়া নির্ধারণে একটি পলিসি ডায়ালগ আয়োজন করা এবং স্বাস্থ্যবীমা চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া। ১৯৭৩ সালের ২ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ প্রদানের স্মারকপত্র ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় নিন্দা প্রস্তাব এজেন্ডাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সম্পাদনা : মুসবা তিন্নি
আপনার মতামত লিখুন :