আসিফ নজরুল : হংকং এয়ারপোর্টে সবুজ পাসপোর্ট দেখলে আটকে রাখে কিছুক্ষণ। দুবাই এয়ারপোর্টে তাকায় মিসকিন দেখার চোখে। মাসকাট এয়ারপোর্টে পাকিস্তানি সুপার বাপ-মা তুলে গালাগালি করে বাংলাদেশের শ্রমিকদের। আমেরিকার দূতাবাসে ভিসা চাইতে গেলে ছ্যা ছ্যা করে উঠে কাউন্টারের ওপাশের মানুষ। সীমান্তে ভারত মারে, মিয়ানমার দাবড়ানো দেয়। ভূমধ্যসাগরে জলে ডোবে, থাইল্যন্ডে জঙ্গলে মরে, সৌদি আরবে যৌনদাসী হয় আমাদের দেশের মানুষ।
এমন একটা দেশই মহারাজা হয়ে উঠে ক্রিকেটের মাঠে। বিস্ময় শিরোনামে আসে বিবিসি, ক্রিকইনিফোর। ভারত-পাকিস্তানকে হারায়, মাঝে মাঝে নাক উচু সাদা চামড়ার দেশদের। আমাদের শীর্ণ বুকের ছাতি বেড়ে দ্বিগুণ হয় সাকিব-তামীম-মুশফিকদের শক্ত চোয়াল দেখে দেখে। মুস্তাাফিজ-সৌম্যর উদ্দাম তারুণ্য দেখে।
শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযাত্রা। কে রাজনীতি করলো, কে এমপি হলো, কে কি পোষ্ট দিলো, আসুন আজকে থেকে অন্তত ভুলে যাই আমরা। দাঁড়াই আমার বাংলাদেশের পাশে। বুক ভরে, গলা ফাটিয়ে, উদযাপন করি আমাদের মাশরাফি বাহিনীর সাফল্যে। কেঁদে আকুল হই তাদের বেদনায়।
জয় হোক বাংলাদেশের। মুখে হাসি নিয়ে ফিরুক আমাদের সোনার ছেলেরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরর আইন বিভাগের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুলের এর ফেসবুক থেকে নেয়া।
আপনার মতামত লিখুন :