মুহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, ঢাবি: সঞ্জিত চন্দ্র দাশকে সভাপতি এবং সাদ্দাম হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার প্রায় ১০ মাস পর ৩০ মে বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পদসংখ্যা ১৫১টি হওয়ার কথা থাকলেও কমিটিতে পদ দেয়া হয়েছে ২৫১ জনকে। আবার অন্যদিকে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির (ডিইউডিএস) সভাপতি এস এম রাকিব সিরাজীকে কমিটিতে সাহিত্য সম্পাদক পদ দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের পদ গ্রহণ করলে ডিইউডিএসের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তার সদস্যপদ বাতিল হওয়ার কথা বলা আছে। এবিষয়ে ডিইউডিএসের গঠনতন্ত্রের ৬ (ঠ) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কার্যনির্বাহী পরিষদের কেউ কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের পদ গ্রহণ করলে তাঁর সদস্যপদ বাতিল হবে।’
এ বিষয়ে কথা বললে সদ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগে সাহিত্য সম্পাদক পদ পাওয়া ডিইউডিএসের সভাপতি এস এম রাকিব সিরাজী জানান, ‘আমরা বিতার্কিকরা সমাজ-রাষ্ট্র নিয়ে ভাবি। তাই আমাদের রাজনীতিতে আসা উচিত। এটি নিয়ে সমালোচনা করার কিছু নেই।’
গঠনতেন্ত্রের নিয়ম না মানার বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান,‘ ডিবেটিং সোসাইটির বিতার্কিকদের সবার রাজনৈতিক পদ গ্রহণের বিষয়ে মৌন সম্মতি আছে। আমাদের গঠনতন্ত্রটি অনেক পুরোনো। গঠনতন্ত্রের ঐ ধারাটি পরিবর্তনের জন্য এর আগেও অনেকবার দাবি উঠেছিল বিতার্কিকদের মধ্য থেকে কিন্তু ব্যস্ততার কারণে পরিবর্তন করা হয়ে উঠেনি।’
তবে রাকিবকে পদ দেয়ার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ঐ ধারাটি কেবল ডিইডিএস সংগঠনটির কমিটি ঘোষণার সময়ে মানা হয়।’
গঠনতন্ত্র অনুসরণ না করে ঢাবি ছাত্রলীগের কমিটির আকার বড় করার বিষয়ে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী বর্তমানে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাই তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উপহার স্বরূপ এই বর্ধিত কমিটি দেয়া হয়েছে।’
আপনার মতামত লিখুন :