রাইসা মনোয়ার: যখন তখন, যেখানে সেখানে হর্নের বিকট আওয়াজে নাস্তানাবুদ রাজধানীবাসী। ধীরগতির ঢাকার রাস্তার হর্ন বাজানোর প্রয়োজনই নেই বলে মনে করেন অনেকে। বিআরটিএ বলছে, অপব্যবহার রোধে সচেতনতার পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনের প্রয়োগ করার কথা। (সময় টিভি)
হর্নের এমন অপব্যবহারে প্রথম ভোগান্তির শিকার হয় ট্রাফিক পুলিশ। রাস্তার গাড়ির শৃঙ্খলা রক্ষা করা যার দায়িত্ব তার কানই অরক্ষিত হয় রাস্তার শব্দে।
রাস্তায় কেউ নিজের বীরত্ব দেখাতে, কেউবা প্রভাব খাটাতে হর্ন চেপে ধরে রাখেন। কেউ বারবার হর্ন বাজান। সিগনাল ছাড়লে যেন হর্নের উৎসব শুরু হয়। স্কুল কলেজ মসজিদ মন্দির কোনো নিষেধাজ্ঞাই নিয়ন্ত্রণ হয় না হর্নের তীব্রতা।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ২০১৭ সালের রিপোর্টে দেখা যায়, আবাসিক, বাণিজ্যিক বা মিশ্র এলাকায় শব্দের মাত্রা যা থাকার কথা তার দ্বিগুণ। মোটা দাগে রাজধানীতে শব্দদ‚ষণ ঘটাচ্ছে মোটর সাইকেল আর ব্যক্তিগত গাড়ি।
এদিকে হর্ন বিরোধী আন্দোলনকারীরা বলছেন, ৪০ কিলোমিটার গতির রাস্তায় হর্নের প্রয়োজন নেই। প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে তাকে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
বিআরটিএ বলছে, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর আওতায় আর্থিক জরিমানা ও কারাদণ্ডের শাস্তি ভোগ করতে হবে হর্নের অপপ্রয়োগকারীকে। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনসচেতনতা তৈরির চেষ্টা করছে পুলিশ।
হর্নের অপব্যবহারের জন্য কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর আইনের প্রয়োগ না থাকাকেই দুষছেন পরিবেশবাদীরা। সম্পাদনা: জামাল
আপনার মতামত লিখুন :