স্পোর্টস ডেস্ক : ঘড়ির কাটা ঘুরছে আর ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে উদ্বোধনী ম্যাচের অপেক্ষা কমে আসছে। ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্বোধনী ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে দ্বাদশতম ক্রিকেট বিশ্বকাপের আসর। বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩ টায় ওভালে ম্যাচটি শুরু হবে।
এর আগে এক নজরে ১১ আসরের সেরা রেকর্ড গুলো দেখা নেওয়া যাক......
সবচেয়ে বেশি চ্যাম্পিয়ন: এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ হয়েছে ১১টি। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া সবচেয়ে বেশি পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। অজিরা ঘরে শিরোপা তুলেছে ১৯৮৭, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭ ও ২০১৫ সালে।
টানা সবচেয়ে বেশি জয়: ১৯৯৯ সালের ফাইনাল থেকে শুরু করে ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত ২৫ ম্যাচ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া।
টানা সবচেয়ে বেশি হার: ১৯৮৩ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়াকে ১৩ রানে হারানোর ৯ বছর পর জিম্বাবুয়ে জয় পেয়েছিল। এই সময় ১৮টি ম্যাচ খেলেছিল তারা।
দলীয় সর্বোচ্চ রান: ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ছয় উইকেটে ৪১৭ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই ম্যাচে অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ১৩৩ বলে ১৭৮ রান করেছিলেন।
রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় হার: বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান হয়েছিল যে ম্যাচে সেই ম্যাচেই সবচেয়ে বড় হারের ঘটনাটি ঘটে। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের ঐ ম্যাচে আফগানরা হারে ২৭৫ রানে।
দলীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ: ২০০৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ৩৬ রানে অলআউট হয়েছিল কানাডা।
উইকেটের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় হার: বিশ্বকাপে ১০ উইকেটে হারের ঘটনা আছে ১১ট। এর মধ্যে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ তিনবার এমন হারের লজ্জায় পড়েছিল। এছাড়া কেনিয়া ও জিম্বাবুয়ে দুইবার করে ১০ উইকেটে হেরেছে।
সবচেয়ে কম রানের ব্যবধানে জয়: ১৯৮৭ সালে ভারতকে ১ রানে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া, ১৯৯২ সালেও ভারতকে ১ রানে হারিয়েছিল অজিরা।
সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড়: এখানে বাংলাদেশের নাম জড়িয়ে আছে। পেসার তালহা জুবায়ের ২০০৩ বিশ্বকাপে মাত্র ১৭ বছর ৭০ দিন বয়সে খেলতে নেমিছেলেন বিশ্বমঞ্চে।
এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি অতিরিক্ত রান: ১৯৯৯ সালে স্কটল্যান্ড আর পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচে মোট অতিরিক্ত রান হয়েছিল ৯৬টি। এর মধ্যে স্কটিশরা মিস্টার এক্সট্রা দিয়েছিল ৫৯ (৫ বাই, ৬ লেগ বাই, ৩৩ ওয়াইড, ১৫ নো বল)। কম যায়নি পাকিস্তান, দিয়েছিল ৩৭টি অতিরিক্ত রান (১ বাই, ১১ লেগ বাই, ১৭ ওয়াইড, ৮ নো বল)।
সবচেয়ে বেশি ম্যাচে আম্পায়ার: ইংল্যান্ডের ডেভিড শেফার্ড সর্বোচ্চ ৪৬ ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছেন।
সবচেয়ে বেশি ম্যাচ: অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি গ্লেন ম্যাকগ্রা এবং সাবেক দলপতি রিকি পন্টিং ৩৯টি করে বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলেছেন।
অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ: নিউজিল্যান্ডের সাবেক দলপতি স্টিফেন ফ্লেমিং বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিয়েছেন সর্বোচ্চ ২৬ ম্যাচ।
আপনার মতামত লিখুন :