কেএম নাহিদ : কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের মুখে তাদের শিবিরগুলোকে সিসি ক্যামেরা বসানোসহ নজরদারি বাড়ানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। জানায় বুধবার বিবিসি প্রকাশিত হয় এক প্রতিবেদনে বলা হয় শিবিরগুলোর ভিতরে রোহিঙ্গাদের কোন্দলে দুই বছরে ৩০ জনের বেশি নিহত হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল বলেন, শিবিরগুলোতে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন গ্রুপের কোন্দল নিরসনে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে।
তিনি বলছেন, "ইতিমধ্যে আমরা যে কাজটি করেছি। সচেতনতামূলক কার্যক্রম নিয়ে তাদের মধ্যে যাতে এটা নিরসন করা যায়, সেই উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিটি ক্যাম্পে ১০০করে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করেছি। তারা রোহিঙ্গা নেতাদের নিয়ে বসে কোন্দল নিরসনে চেষ্টা চালাচ্ছে।
সরকারি কর্মকর্তারা আরও বলেছেন, ১১লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর কারণে বাংলাদেশের নিরাপত্তা প্রশ্নে সজাগ থাকার বিষয় যেমন রয়েছে। একইসাথে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার বিষয় আছে, এই দু'টি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হচ্ছে।
কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন, রোহিঙ্গা শিবিরগুলোর চারদিকে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করার একটি প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা রয়েছে। তবে এই প্রস্তাবে দাতাদের আপত্তি রয়েছে।
শিবিরগুলোতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নানান অপরাধে জড়িয়েছে পড়া, মানব পাচারের চেষ্টা এবং শিবির থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের অন্য এলাকায় ছড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা এই বিষয়গুলো উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে বলে কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন।
বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিতে গিয়ে কয়েকজন রোহিঙ্গা নারীও গ্রেফতার হয়েছে। এছাড়া মে মাসেই সমুদ্রপথে নৌকায় করে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টার সময় ৮৪জন রোহিঙ্গাকে পুলিশ এবং কোস্টগার্ড আটক করে। সম্পাদনায়: এইচএম জামাল