ডেস্ক রিপোর্ট : লোকসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পর্ব চলাকালীন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক সাক্ষাৎকারে দাবি করে ছিলেন, তাকে না কি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বছরে একবার বাংলার মিষ্টি পাঠান। তা নিয়ে রাজ্য জুড়ে শাসক-বিরোধী তরজা চরমে ওঠে। আর এবার নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় দফার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকছে সেই বাংলার মিষ্টি। আর সেই মিষ্টি হল বাংলার কেশরী রাজভোগ।ইন্ডিয়ান টাইমস
বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণে দেশ-বিদেশের মিলিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রায় ৫ থাকে ৬ হাজার অতিথি। যদিও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বেশি জাঁকজমক পূর্ণ না করার জন্য আগেই সাংসদ প্রতিনিধিদের কাছে আবেদন জানিয়ে ছিলেন খোদ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কবিন্দ।
দরবার হলের সামনে ফোর্টকোর্টে শপথ নেবেন মোদি। এই নিয়ে চতুর্থবার এই স্থানে দেশের কোনও প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হতে চলেছে। ১৯৯০ সালে চন্দ্র শেখর, ১৯৯৮ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ী, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী তার প্রথম দফায় এই স্থানে শপথ নিয়ে ছিলেন। আর এবার ফের একই স্থানে শপথ নেবেন মোদি। সন্ধ্যে ৭টায় শুরু হবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান।
প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণের পর রাষ্ট্রপতি ভবনে যে হাই টি আয়োজন করা হয়েছে, তাতে থাকছে বাংলার রাজভোগ। হাই টি-র মেনুতে থাকছে ভারতীয় ও বিদেশি খাবারের সংমিশ্রণ। যেমন থাকছে সমোসা, তেমনই থাকছে স্যান্ডউইচ, কমলালেবুর দই লেমন টার্টও। তার পাশেই থাকবে কেশরী রাজভোগ। ব্যাঙ্কোয়েটে আমিষ, নিরামিষ দু রকমেরই পদ থাকবে। থাকছে রাষ্ট্রপতি ভবনের স্পেশালিটি ডাল রাইসিনা। এই ডাল রাঁধতে সময় লাগে ৪৮ ঘণ্টা।
আপনার মতামত লিখুন :