শিরোনাম

প্রকাশিত : ৩০ মে, ২০১৯, ০৮:৫০ সকাল
আপডেট : ৩০ মে, ২০১৯, ০৮:৫০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রেসিডেন্ট জিয়ার ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বিএনপির দিনব্যাপী কর্মসূচি

শাহানুজ্জামান টিটু : চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ১৯৮১ সালের ৩০ মে সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী সদস্য প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে। দিবসটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করতে নানা কর্মসূচি নিয়েছে বিএনপি। সকাল ১০টায় শেরেবাংলা নগর জিয়াউর রহমানের কবরে দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা পুস্পার্ঘ অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন। সমাধিস্থলে ওলামা দলের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া গতকাল বিএনপির উদ্যোগে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আজ নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে ডক্টরস এ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ড্যাব) উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে। দিনব্যাপি এই চিকিৎসা সেবার উদ্বোধন করবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দিবসটি উপলক্ষ্যে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তিনি বলেন, ‘‘জাতির চরম দুঃসময়গুলোতে জিয়াউর রহমান দেশ ও জনগণের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। মহান স্বাধীনতার বীরোচিত ঘোষণা, স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য ভূমিকা এবং রাষ্ট্র গঠনে তাঁর অনন্য কৃতিত্বের কথা আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। গণতন্ত্র হত্যা ও অরাজকতার অমানিশার দুর্যোগের মুখে দেশের সিপাহী-জনতার মিলিত শক্তির মিছিলে জিয়াউর রহমান জাতীয় রাজনীতির পাদপ্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হন। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে ফিরিয়ে দেন বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংবাদপত্র ও নাগরিক স্বাধীনতা। বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকার দেশে একদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। কেন্দ্রীভূত স্বৈরতন্ত্রের প্রতিভু বর্তমান সরকার। এরা নতুন কায়দায় পুরানো বাকশালকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। বিরোধী দলের অধিকার, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা ভূলুন্ঠিত করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। সেজন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সাজানো মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে।’’

জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালে বগুড়ার গাবতলীর বাগবাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৭ বছর বয়সে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। মহান মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে মেজর জিয়া নিজেও ছিলেন সম্মুখসমরে। বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত হন বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার মিলিত বিপ্লব তাকে নিয়ে আসে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে। ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হন। ক্ষমতায় থাকা অবস্থাতেই তিনি প্রথমে জাগদল, পরে বিএনপি গঠন করেন। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়