ডেস্ক রিপোর্ট : হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, গণমাধ্যমে প্রচারিত এমন একটা খবর আমাদের নজরে এসেছে, যাতে বলা হয়েছে- ‘মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য উগ্রবাদবিরোধী রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।’
তিনি বলেন, এই প্রতিযোগিতা থেকে দেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ সাধারণ শিক্ষার ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বাদ রাখা হয়েছে। পুলিশের এমন এক তরফা উদ্যোগে দেশের আলেম সমাজ ও লাখ লাখ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ সাধারণ তৌহিদী জনতার মনে উদ্বেগ ও শংকা তৈরি হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় আল্লামা বাবুনগরী ব্যক্তিগত সহকারী মাওলানা ইন'আমুল হাসান ফারুকী প্রেরিত বিবৃতিতে হেফাজত মহাসচিব আরও বলেন, গত ২৫ মে ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের প্রচারিত বিবৃতিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, এ উদ্দেশ্যে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহিংস উগ্রবাদবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ‘সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে ইসলামী শিক্ষা’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
পুলিশ স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন সচেতনতা তৈরির প্রয়োজন মনে করল না কেন- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, গুলশানের হলি আর্টিজানের ভয়াবহ সন্ত্রাসী ঘটনাসহ এ পর্যন্ত বাংলাদেশে যেসব উগ্রবাদী ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, তার কোনটির সঙ্গেই মাদ্রাসা ছাত্রদেরক সংশ্লিষ্টতা দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণও বিভিন্ন বক্তব্যে বারবার বলেছেন যে, জঙ্গিবাদের সঙ্গে আলেম-উলামা ও মাদ্রাসা ছাত্ররা নয়, বরং ইংলিশ মিডিয়াম ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিত্তশালী পরিবারের সন্তানরাই জড়িত।
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, অবিলম্বে মাদ্রাসা শিক্ষা, আলেম-উলামা ও ইসলামী শিক্ষার প্রতি নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টিকারী এই প্রতিযোগিতা বন্ধ করুন। এই প্রতিযোগিতা বহাল থাকলে দেশের আলেম সমাজ ও জনগণের মনে পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে যেমন সংশয় জাগবে, তেমনি ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থী তরুণ-কিশোরদের মধ্যে সহিংস উগ্রবাদবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিযোগিতার প্রয়োজন মনে করা হলে, এতে স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটির সঙ্গে প্রয়োজনে মাদ্রাসার ছাত্রদেরকেও শামিল করুন। তাতে কারোরই আপত্তি থাকবে না।
সূত্র : যুগান্তর