নিউজ ডেস্ক : ঘরে অভাব নিত্যদিনের সঙ্গী, তবু এই অভাবের পাহাড় ঠেলে অভাবকে জয় করলেন শিমুরালির ইঁদারা পাড়ার মেয়ে স্বর্ণা দে। সাংসারিক অভাব-অনটন ও সমস্ত প্রতিকূলতাকে পিছনে ফেলে এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় চাকদা রামলাল একাডেমী থেকে ৫০০ এর মধ্যে ৪৬৫ নম্বর (৯৩%) পেয়ে এক অনন্য নজির গড়েছে স্বর্ণা। (নদীয়া নিউজ ২৪)
স্বর্ণার বাবা রাজমিস্ত্রীর যোগালের কাজ করতেন কিন্তু হটাৎ একদিন শিরদাঁড়ায় চোট পাওয়ার ফলে গত কয়েকবছর যাবদ ভারী কাজ সেভাবে করতে পারেন না। ফলে রোজ কাজও জোটে না। অগত্যা স্বর্ণার মা-ই সংসার চালানোর তাড়নায় বেছে নিয়েছেন লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ। মা-বাবা ছাড়াও স্বর্ণার আছে আরও একটি বোন। সে একই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। ফলে চারজনের সংসারে টেনে দুই মেয়ের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে হিমসিম খেতে হয় তার মাকে। এ হেন পরিবারটির মাথার উপরও নেই একটি স্থায়ী ছাদ। অন্যের বাড়িতে ভাড়া থেকেই কাটছে জীবন। এতসব প্রতিকূলতার মধ্যে থেকে লেখাপড়াকে ভালবেসে এবছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় কলা বিভাগে সব বিষয়ে ৯০ শতাংশের উপর নম্বর পেয়েছে স। রাজ্যের
মধ্যে ৩১-তম স্থান দখল করে সকলকে তাকও লাগিয়ে দিয়েছে অষ্টাদশীর স্বর্ণা। কিন্তু এত ভাল ফল করার পরও দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে স্বর্ণার। তার ইচ্ছা লেখাপড়াটা চালিয়ে যাওয়ার। কিন্তু কলেজে ভর্তি হতে এবং কলেজে লেখাপড়ার খরচ কোথা থেকে আসবে তা নিয়ে চিন্তায় রয়ছে পরিবারটি। স্বর্ণার মায়ের কথায় কন্যাশ্রী থেকে প্রাপ্ত টাকাটাও অভাবের সংসারে খরচ হয়ে গেছে। তাই এই বোঝা টানতে না পেরে বাবা মা বাধ্য হয়ে বিয়ে না দিয়ে দেয় স্বর্ণার, এখন সেই চিন্তা গ্রাস করেছে তাকে। স্বর্ণার বাবা মায়ের আবেদন যদি কোন সহৃদয় ব্যক্তি তাদের সাহয্য করতে পারেন তবে তারা উপকৃত হবেন। স্বর্ণার বাবার মোবাইল নম্বর ৭৪৭৭৩৯৪৬৪৯
আপনার মতামত লিখুন :