মঈন মোশাররফ : সুপরীচিত আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেন, আমি সরকার বান্ধব কী না সেটা কিন্তু বিষয় নয়। প্রধান বিষয় হচ্ছে আমি সাংবাদিক। আমি সরকারবান্ধব হই বা না হই তার উপর ভিত্তি করে আমাকে কিছু করা হবে এটা কিন্তু হতে পারে না। একজন সাংবাদিক অনুসন্ধান করে, প্রশ্ন করে এবং প্রতিবেদন করে। আমার কথাগুলো যা ছিলো সেটা নিয়ে লাইভ রিপোর্ট করেছি। তবে যদি দীর্ঘ মেয়াদে একটা অনুসন্ধান করি সেখানে গবেষণা করে কিছু বলবো। কিন্তু আমি যখন চলমান টগবগে কোনো ঘটনার উপর কিছু বলবো তখন কোন খানে কোথায় কী ঘটনা ঘটেছে সেইগুলাই বলবো। আমার প্রথম লাইভ পোস্টের ঠিক পূর্বে আমার উপর আক্রমন করা হয়েছে। আমার অফিসের মেশিনারিজ ভাঙ্গা হয়েছে। আমি এসব কথা বলেছি। আর আমাকে বলা হলো আমি উস্কানি দিয়েছে। যে ঘটনা ঘটে গেছে তাকে ভিত্তি করে উস্কানি দিলাম কী ভাবে। এই বিষয়টি বোঝা আমার জন্য কঠিন। জার্মানে ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের প্রধান খালেদ মুহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় বাংলাদেশের তিন সাংবাদিক নিয়ে এক আড্ডা অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এরশাদ আমলে আমার মাথায় বন্দুক তাক করা হয়েছে। বিএনপির আমলে চাকু মারা হয়েছে। এই সরকার আমাকে হাজতে নিয়েছে। এই অর্থে তারা সকলেই গণতান্ত্রিক। সবাই একই আচরণ করছে।
তিনি আরো বলেন, আমি যে রিপোর্টগুলো করেছি তা নিজ থেকে করেছি। কারণ কোনো অর্থের বিনিময়ে নয় এবং কোনো প্রতিষ্ঠানের হয়ে নয়। কারণ প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ কাজ করলে চাপ থাকে। আমার তা নেই। ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের সঙ্গে যখন কথা বলতে হয় তখন মাথায় রাখতে হবে তার ক্ষমতা কতটুকু। তুলনামূলক ভাবে আমার ক্ষমতা কম সেটা সরকার হক আর যে ই হোক। সাংবাদিকদেরও ক্ষমতাবান হওয়া দরকার। তবে ক্ষমতা দেখানোর অর্থে নয়। আমার সততার কারণে জনগণ পাশে আছে এই অর্থে। যদি নিয়মিত সঠিক ধারালো কাজ করে নিজের জায়গা তৈরি করতে পারি তাহলে জনগণ আমার পাশে থাকবে।
সাংবাদিকতা ও মামলার চার্জশিট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাংবাদিক ভুল করতে পারে । তবে তার ভুল ধরিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সে ভুল করছে বলে সে দেশদ্রোহী এটা প্রমাণ করার কিছু নেই। দেখেন, ঘটনাটা ঘটেছে আগস্টের ৫ তারিখে এখন নতুন বছরে জুন মাস । তারা এখনও চার্জশিট দিতে পারলো না। আমাকে যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সেটাতো অনলাইনে আছে। আমিতো প্রকাশ্যে কথা বলেছি । সেটাতো সরকারের সামনে আছে। আমি ৫ আগস্ট প্রকাশ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা বলেছি এই বিষয়টি প্রমান করতে এতাদিন সময় লাগে কেনো। এখানেইতো প্রশ্ন।
আপনি সাংবাদিক কী না এ প্রশ্নে তিনি জানান , অন্যান্য দেশে জাতীয় নির্বাচনের সময় বøগাররা নির্বাচন কমিশনের কার্ড পায়। নির্বাচনে কাজ করে । কিন্তু আমাদের দেশে তা হয় না । আমি বাংলাদেশের ফাস্ট বøগার । আমি বাংলাদেশে ইন্টারনেট এনেছি । বিশ্বের বিভিন্ন সাংবাদিকতা প্রকাশনায় আমারা প্রতিবেদন আসে। পেশাজীবী হিসেবে কাজ করি। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ছবি তুলেছি। আমি রাতারাতি কিছু হয়নি। পৃথিীবর সাংবাদিকতা প্রকাশনা হাউজে আমার অনেক রিাপর্ট প্রকাশ হয়েছে। সম্পাদনায় : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :