আসিফ হাসান কাজল : সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: বেলায়েত হোসেন বলেছেন, শতভাগ নসিমন, করিমন প্রধান সড়কে শতভাগ বন্ধ করা সম্ভব না। কারণ, ছোট ছোট যাতায়াত মানুষের অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
বুধবার ২৯ মে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত 'ঈদযাত্রায় ভাড়া নৈরাজ্য ও সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপ চাই' শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
বিআরটিএ এর সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুবুর রহমান বলেন, যদি পরিবারকে আগে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া যায়, তবে ঈদযাত্রা অনেকটা স্বস্তি মিলবে। কারণ সবাই যখন একসাথে বাড়ি যেতে চায় তখন আর স্বস্তির কোন সুযোগ থাকে না।
গোলটেবিল বৈঠকে মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিবছরই ঈদ যাত্রায় সাধারণ নাগরিক যে সকল ভোগান্তির শিকার হয় , সে ভোগান্তির জন্য সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া জনগণের জন্য কোন দয়া নয়, এটি জনগণের নাগরিক অধিকার।
ট্রেনের টিকেট নিয়ে তিনি বলেন, জনগণ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট সংগ্রহ করতে পারছেনা, কাউন্টার থেকে বলা হয় টিকেট শেষ। কিন্তু টেলিভিশনের স্ক্রলে দেখা যাচ্ছে ২৩ হাজার টিকিট এখনও অবিক্রীত। অন্যদিকে নতুন সংযোজন মোবাইলভিত্তিক অ্যাপসেও টিকেট কাটতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে নাগরিকরা। এই জবাবদিহিতা কার কাছে পাওয়া যাবে?
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, যানজটের কারণে যাত্রীবাহী বাস গুলো কাঙ্ক্ষিত সংখ্যক টিপ দিতে না পেরে, তা পুষিয়ে নেওয়ার জন্য বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা হয়। যার ফলে প্রতিবছর ঈদ যাত্রা মৃত্যুর মিছিলে পরিণত হয়। ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করা না গেলে ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও পণ্যবাহী গাড়িতে নিম্ন লোকজনের যাতায়াত কোন ভাবেই ঠেকানো যাবে না।
গোলটেবিল বৈঠকে বিআরটিএ এর রোড সেফটি পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানি এবং গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. সালেহ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :