শিরোনাম
◈ চট্টগ্রাম বন্দরে সাইফ পাওয়ার টেকের যুগের অবসান, এনসিটির দায়িত্বে নৌবাহিনী ◈ ১ ট্রিলিয়ন ডলারের খনিজের খেলায় তালেবান, পেছনে চীন-রাশিয়া-ইরান-ভারত! ◈ পাকিস্তানকে ঠেকাতে গিয়ে ভারতে বন্যা, তোপের মুখে কঙ্গনা (ভিডিও) ◈ ৫ আগস্ট লক্ষ্য ছিল গণভবন, এবার জাতীয় সংসদ: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ গাজীপুরে মহানগর বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার ◈ দেশের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় জনগণ ঐক্যবদ্ধ : মির্জা ফখরুল ◈ রেস্ট হাউজে ‘নারীসহ’ ওসি, আটক করে ‘চাঁদা দাবি’ ছাত্রদল নেতার, সিসিটিভির ফুটেজ ফাঁস ◈ আর একটি হত্যাকাণ্ড ঘটলে সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ: হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের ◈ ধামরাইয়ে ঋণ দেওয়ার কথা বলে গৃহবধুকে ধর্ষণ, আসামী গ্রেফতার ◈ গাজীপুরে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার বিএনপি নেতা স্বপন

প্রকাশিত : ২৯ মে, ২০১৯, ১১:৪৪ দুপুর
আপডেট : ২৯ মে, ২০১৯, ১১:৪৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মদ, নারী ও সরাইখানা কবি হাফিজ তার গজলে কেন বার বার ব্যবহার করেছেন (ভিডিও)

নিউজ ডেস্ক : পারস্যের কবি হাফিজের মৃত্যুর ১০০ বছরের মধ্যে তার কোন জীবনী রচিত হয়নি। কাজেই তার জীবনের অধিকাংশ ঘটনা আঁধারে রয়ে গেছে। তার জন্ম-মৃত্যুর সঠিক তারিখ নিয়ে রয়েছে নানা মত। হাফিজের সম্ভাব্য মৃত্যুর সাল ৭৯১ হিজরি বা ১৩৮৯ খ্রিস্টাব্দ। তার খাজা শামস-উদদীন মোহাম্মদ হাফিজ-ই-শিরাজী।

খুব ছোট থাকতেই কবি হাফিজ কুরআনের হাফেজ হয়েছিলেন বলেই তার নাম হয় হাফেজ থেকে হাফিজ।
পারস্যের (বর্তমান ইরান) শিরাজ শহরে কবি হাফিজ শিরাজী মোসল্লা নামক স্থানে চতুর্দশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে জন্মগ্রহণ করেন।

হাফিজের পিতা বাহাউদ্দীন ইসপাহান নগরী থেকে ব্যবসা উপলক্ষে সিরাজে এসে বসবাস করেন। তিনি ব্যবসায়ে বেশ সমৃদ্ধিও লাভ করেন । কিন্তু মৃত্যুকালে সমস্ত ব্যবসায় এমন গোলমালে জড়িয়ে রেখে যান যে শিশু হাফিজ ও তার মা ঐশ্বর্যের কোল থেকে একেবারে দারিদ্র্যের করাল গ্রাসে নিপতিত হন। বাধ্য হয়ে তখন হাফিজকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্থোপার্জন করতে হয়।

ফার্সি সাহিত্য নিয়ে গবেষণারত ইরানের আল মুজতবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহনাজ আরফিন বলেন, কবি হাফিজের কবিতার মূল উপজিব্য বিষয় ছিল প্রেম ভালোবাসা। তিনি বিশ্বাস করতেন ভালোবাসার মাধ্যমে বিশ্বকে জয় করা যায়, মানুষের হৃদয় জয় করা যায়। এই ভালোবাসারই জয়গান গেয়েছেন তিনি তার কবিতা ও গজলের প্রতিটি চরণে।
হাফিজকে গজল সম্রাটও বলা হয়। বাংলা গজলের বিষয়ে বলা হয়ে থাকে যে, ফার্সি গজল থেকেই প্রভাবিত হয়েই এই ধরার শুরু।

তিনি বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দুজনই কবি হাফিজের দ্বারা বেশ প্রভাবিত ছিলেন।যা তাদের লেখায় প্রকাশ পেয়েছে।এছাড়া বাংলার আরো অনেক কবিই হাফিজকে অনুসরণ করেছেন।

শাহনাজ আরফিন বলেন, উপমহাদেশে হাফিজের কবিতা ও গজল বেশ জনপ্রিয় ছিল। তার প্রমাণ পাওয়া যায় এভাবে যে, সেসময়কার বাংলার শাসক সুলতান গিয়াসউদ্দিন আ্জম শাহ একটি কবিতার দুইটি লাইন লিখে আর মিলাতে পারছিলেন না। তখন তিনি দরবারের অন্যসব কবিদের সাহায্য চাইলেন। কিন্তু কারো দেয়া পরবর্তী লাইনগুলো পছন্দ হচ্ছিল না। পরে সুলতান অনেক উপহার দিয়ে পারস্যে সিরাজে কবি হাফিজের কাছে পাঠালেন বাকি লাইনগুলো মিলিয়ে দিতে। হাফিজ বাকি লাইনগুলো লিখে দিলেন এবং সুলতানের তা খুবই পছন্দ হয়। কবি হাফিজের দিওয়ানে হাফিজের ৫০টি গজলের মাঝে এই গজলটিও অন্যতম।

হাফিজ তার গজলে মদ নারী ও সরাইখানা এই শব্দগুলো খুব বেশি ব্যবহার করেছেন। অনেকেই এজন্য নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে তার সমালোচনা করেন। আসলে এগুলো রূপক অর্থে ব্যবহার হয়েছে। হাফিজ ছিলেন আধ্যাত্মিক কবি, সাধক। তার এই শব্দগুলো অল্পকথায় বিশ্লেষণ করা সম্ভব না। এজন্য বিস্তর আলোচনা ও পড়াশোনার দরকার রয়েছে।

কবি হাফিজের জীবনের কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা ও তার সাহিত্যের প্রধান প্রধান বিষয়গুলো নিয়ে এই ভিডিওটি সাজানো হয়েছে।

কবি কাজী নজরুল ইসলাম কিভাবে কবি হাফিজকে অনুসরণ করেছে আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবি হাফিজের মাজার জিয়ারত করে কি মন্তব্য করেছেন সে বিষয়গুলোও ভিডিওতে তুলে ধরা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়