শিরোনাম
◈ গ্রিসের ক্রিট উপকূলে মাছ ধরার নৌকা থেকে বাংলাদেশিসহ ৫ শতাধিক আশ্রয়প্রার্থী উদ্ধার ◈ প্রবাসীদের কাছে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো শুরু, যে প্রক্রিয়ায় ভোট দেবেন তারা ◈ বিশ্ব গণমাধ্যমে শহিদ ওসমান হাদির জানাজায় জনস্রোতের খবর ◈ শহীদ হাদির কবর দেখতে মানুষের ভিড়, রাতেও থাকবে পুলিশি প্রহরা ◈ হা‌দির মৃত‌্যু‌তে গ‌র্জে উ‌ঠে‌ছে বাংলা‌দেশ, যৌথবাহিনীর অভিযান আর গানম্যানে কি আইন-শৃঙ্খলা ফিরবে? ◈ প‌শ্চিমব‌ঙ্গে মোদীকে গোব্যাক ব‌লে, বাংলা‌দে‌শি অনুপ্রবেশকারীদের বলে না- অভিযোগ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর  ◈ মৃত্যুর কিছুদিন আগে সাক্ষাৎকারে যেসব কথা বলেছিলেন ওসমান হাদি (ভিডিও) ◈ তফসিলের ২ বিষয়ে সংশোধনী এনে ইসির প্রজ্ঞাপন ◈ হাদি হত্যার বিচার দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম, আজকের মতো শাহবাগ কর্মসূচি স্থগিত (ভিডিও) ◈ প্রথম আলো, ডেইলি স্টার অবশ্যই বন্ধ করতে হবে: রাকসুর ভিপি

প্রকাশিত : ২৯ মে, ২০১৯, ০৯:৩৩ সকাল
আপডেট : ২৯ মে, ২০১৯, ০৯:৩৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বগুড়ার বেনারসি পল্লীর শ্রমিকেরা দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে

জিএম মিজান বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরের বেনারসি পল্লীর শাড়ি তৈরির শ্রমিক, এক সময় যাদের হাতে তৈরি হতো বেনারসি শাড়ি এখন জীবন বাঁচানোর তাগিদে সেই হাতে তারা ভ্যান-রিকশা অটো সিএনজি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে। আর এখনও যারা এ পেশা ধরে রেখেছেন তাদেরও দিন চলছে অনেক কষ্টে।পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে বৈধ অবৈধ আসা শাড়ি দখল করে নিয়েছে দেশী বেনারসি পল্লীর তাঁতে তৈরি শাড়ির বাজার।

বগুড়া শহর থেকে প্রায় ২৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ঘোলাগাড়ি কলোনি গ্রামে বেনারসি শাড়ি তৈরির শ্রমিকদের বসতি এলাকা। তবে এখন আর বেনারসি পল্লীতে বেনারসি শাড়ি তৈরি হয় না। এ এলাকায় এখন জামদানি, কাতান, ধুপিয়ানসহ তাঁতে তৈরি বিভিন্ন ডিজাইনের শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। তাও আবার সীমিত আকারে। দিন দিন চাহিদা কমে যাওয়ায় শাড়ি উৎপাদন কমে যাচ্ছে। পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক তাঁত। বেনারসি শাড়ি তৈরির শ্রমিক আব্দুল ওয়াহেদ। ঢাকার মিরপুরে বেনারসি পল্লীতে দীর্ঘ ১৫ বছর কাজ শিখে ১৯৯৫ সালে নিজের বাড়িতে তাঁত বসিয়ে ঘোলাগাড়ি গ্রামে প্রথম বেনারসি শাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেন তিনি। দিন দিন শাড়ির চাহিদা বাড়তে থাকলে ঘোলাগাড়ি কলোনি ও নদীয়াপাড়ায় নারী-পুরুষ সবাই তাঁতের কাজ শুরু করেন। কয়েক বছরের ব্যবধানে দুইপাড়ায় ৭০-৮০টি তাঁত বসানো হয়। শুরু হয় বেনারসি ছাড়াও জামদানি, কাতান, ধুপিয়ানসহ বিভিন্ন ডিজাইনের শাড়ি তৈরির কাজ।

আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, বেনারসি পল্লীতে তৈরি শাড়ির চাহিদা এতটাই ছিল যে, ঢাকার বিভিন্ন শাড়ির শো-রুম থেকে আগাম টাকা দিয়ে অর্ডার দেয়া হতো। সারা বছরের পাশাপাশি রমজান মাসে চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি। এ কারণে রমজান মাসে দিন রাত কাজ করত শ্রমিকেরা। তবে গত কয়েক বছর ধরে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে বেনারসি শাড়ি প্রবেশ করায় দেশি বেনারসির কদর কমে গেছে। আর ভারতীয় বেনারসির দাম কম হওয়ায় সেগুলো বাজারে চলে বেশি। সম্পাদনা : মুসবা তিন্নি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়