সান্দ্রা নন্দিনী : গতবছর মালয়েশিয়াসহ ১৮৭টি দেশের সরকার ‘ব্যাসেল কনভেনশন’ চুক্তিতে প্লাস্টিককে অন্তর্ভক্ত করতে সম্মত হয়। চুক্তিটিতে বিশ^ব্যাপী প্লাস্টিকের কারণে পরিবেশদূষণ হ্রাস করার লক্ষ্যে, এক দেশ থেকে আরেক দেশে দূষণকারী সামগ্রী পাঠানো রোধ সংক্রান্ত বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে। উল্লেখ্য, প্রতিবছর ৭০ লাখ টনেরও বেশি বর্জ্য সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয় যখন চীন ২০১৮ সালে বর্জ্য আমদানি বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে মালয়েশিয়াই হয়ে ওঠে প্লাস্টিক’সহ বর্জ্য সরবরাহের প্রধান দেশ।-রয়টার্স
এর প্রেক্ষিতে, মঙ্গলবার মালয়েশিয়া ৩ হাজার টনব বর্জ্য যার যার দেশে ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দেয়। ঘোষণাটি এশিয়ার কোনও দেশের পক্ষ থেকে ধনী দেশগুলোর বর্জ্য না নেওয়ার সর্বশেষ সিদ্ধান্ত। উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় বৈধ-অবৈধ একাধিক বর্জ্য রিসাইকেলিং কারখানা রয়েছে।
দেশটির জালানি, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী ইও বি উইন সাংবাদিকদের বলেন, ‘৬০ কন্টেইনারবাহী বর্জ্য প্রচলিত পরিবেশ আইন না মেনে এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পাঠানো হয়েছে এবং সেগুলো সেসব দেশেই আবার কোনরকম দয়া না দেখিয়ে ফেরত পাঠানো হবে। আমরা যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ফ্রান্স, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ব্রিটেনসহ কমপক্ষে ১৪টি দেশকে সনাক্ত করেছি যাদের বর্জ্য ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘উন্নত দেশগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের বর্জ্যরে বিষয়ে সচেতন নয়। যেসব বর্জ্য তারা মনে করে রিসাইকেলিং হচ্ছে আসলে সেগুলো মালয়েশিয়ার পরিবেশকে মারাত্মভাবে দূষিত করে তুলছে।’