ফাতেমা ইসলাম : মাধ্যমিকের পর উচ্চ মাধ্যমিকের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে নেয়ার শংকা থেকেই বাড়ছে এই ঝরে পড়ার সংখ্যাটি। এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরিক্ষায় ১৭ লাখ ৪৯ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী উর্ত্তীর্ন হয় । গত বছরের চেয়ে পাশের সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার। তবে এবার উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম বর্ষের ভর্তির জন্য আবেদনের সংখ্যা ১৪ লাখ ১৫ হাজার। মাধ্যমিকে পাশ আর একাদশে ভর্তির সংখ্যার এমন ফারাক প্রতিবছরের চিত্র। গত বছরেও ১৫ লাখ পাশ করলেও কলেজে গেছে সাড়ে ১২ লাখ শিক্ষার্থী। মাধ্যমিকের পর শিক্ষার্থীর ঝরে পড়ার এমন চিত্রে উদ্বেগ জানিয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন প্রান্তিক পর্যায়ের এই প্রবণতা বেশি। তাই সেসব এলাকায় কাজ করতে চান তারা। একাত্তর টিভি
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে কিছুটা ড্রপআউট হয় বিশেষ করে যারা গ্রামে থাকে বা শহরের বিভিন্ন কাজের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যায়। মেয়েদের অনেকটা বেশী ড্রপআউট হয়। যে শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক পরিক্ষায় উর্ত্তীর্ন হয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে তারা যেন উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হতে পারে। কাউন্সেলিং করে তাদেরকে শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত করার একটি নির্দেশনা দিয়েছি।
সমন্বয়কারীরা বলছেন, অনলাইনে যারা আবেদন করেনি তাদের জন্য একাধিক বার সুযোগ দেয়া হবে। চিন্তার কোনো কারন নেই। সেই সাথে প্রচলিত রীতি অনুসরন না করে কর্মমুখি ও কারিগরি শিক্ষা বৃত্তির দিকে যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, যদি তারা কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ভিতর প্রবেশ করে তাহলে ৩-৪ বছরের মধ্যে উপার্জনক্ষম মানুষ হিসাবে তৈরি হবে।
গত ১২ মে থেকে শুরু হয়েছে একাদশে অনলাইনে ভর্তির আবেদন। ২৩ মে শেষ হয়েছে প্রথম দফায় আবেদনের প্রক্রিয়া। ফলাফল দেয়া হবে ১০ জুন। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :