মোহাম্মদ মাসুদ : সরকার চায় ব্যবসা বাড়–ক এলপিজি'র। তাই বাসাবাড়িতে পাইপ লাইনের গ্যাস না দেওয়ার পুরনো সিদ্ধান্তে অটল জ্বালানি বিভাগ। গ্যাস সংযোগ আবেদনের নিষ্পত্তি করতে জ্বালানি উপদেষ্টার নেতৃত্বে কমিটি বাতিল ও নতুন গ্যাস সংযোগের নির্দেশনা দিয়ে অফিস আদেশ জারি করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। চ্যানেল ২৪
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার কিছুদিন পরই, বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেয়া বন্ধ রাখে জ্বালানি বিভাগ। শহুরে মধ্যবিত্তদের স্বস্তির এই জায়গায় নতুন কোনো সুখবর নেই। গ্যাস আমদানি করে পরিস্থিতি বর্তমানে অনেকটা সহনীয় হলেও পুরনো ওই সিদ্ধান্তই নতুন করে জানালো জ্বালানি বিভাগ।
বাতিল করা হয়েছে গ্যাস সংযোগের আবেদন নিষ্পত্তিতে জ্বালানি উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত কমিটি। এখন থেকে বিতরণ কোম্পানিগুলোই এসব আবেদন নিষ্পত্তি করতে পারবে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলছেন, গ্যাস আমদানি করে পরিস্থিতি ভালো হলেও নতুন সংযোগ দেয়ার ক্ষেত্রে শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতকেই অগ্রাধিকার দিতে চান তারা। বাসাবাড়ি, হোটেল ও রেস্টুরেন্টকে আমরা নিরুৎসাহিত করছি।
অফিস আদেশে নতুন করে সিএনজি স্টেশনেও গ্যাস না দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এলপিজি সহজলভ্য হওয়ায় বন্ধ থাকবে বাসাবাড়ির সংযোগও।
বিভিন্ন হিসাবে দেখা যায়, সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১২ ভাগ গ্যাস ব্যবহার হয় বাসাবাড়িতে। অথচ বেশি রাজস্ব আসে এই গ্রাহক শ্রেণি থেকেই।
তবে পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান মো. মুক্তাদির আলীর মতে, অর্থনৈতিক মূল্যমানের বিবেচনায় তা যথেষ্ট নয়। তিনি বলেন, ৩০০ মিলিয়নের বেশি গ্যাস বাসাবাড়িতে ব্যবহার হয়। আর এই পরিমাণ গ্যাস দিয়ে ২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। পাইপালাইনে গ্যাসের বিকল্প এলপিজির দাম স্থিতিশীল নয়। তাছাড়া প্রতিবেশী দেশের চেয়ে, বেশি দামে তা বিক্রি হয় খুচরা বাজারে।
আপনার মতামত লিখুন :