মাসুদ আলম : পুলিশ ভ্যানে ককটেল হামলার ঘটনাকে ‘ভীতিকর পরিবেশ’ সৃষ্টির আলামত হিসেবে দেখছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। এই ঘটনার সঙ্গে ২০১৪ ও ২০১৫ সালের পরিবেশেরও মিল রয়েছে। তাই ভয় না পেয়ে নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহŸান জানান তিনি।
মঙ্গলবার রাজধানীর নিউমার্কেটে ঈদ কেনাকাটা উপলক্ষে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একপ্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এছাড়া বসুন্ধরা শপিং মলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও পরিদর্শন করেন কমিশনার।
তিনি বলেন, পুলিশের গাড়িতে হামলার বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে তদন্ত কাজ কাঙ্খিত গতিতে এগোচ্ছে। পুলিশের ওপর হামলার এসব ঘটনা দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করা জন্য এই হামলা করা হয়েছে। চক্রান্তকারীরা বিশেষ ফায়দা নেওয়ার জন্য বসে আছে। তাই জনগণকে বলবো আপনারা সতর্ক থাকুন, কিন্তু ভয় পাবেন না। আমরা আপনাদের নিরাপত্তায় সচেষ্ট আছি।
তিনি আরও বলেন, বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ আমাদের ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এখন এ বিষয়ে চূড়ান্ত কিছু বলা যাবে না। এটি সাধারণ ককটেলের চাইতে অনেক শক্তিশালী।
নিরাপত্তা প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন- পুলিশ ডিউটির পাশাপাশি রাজধানীজুড়ে বসানো হয়েছে হাজার হাজার সিসি ক্যামেরা, যা পুলিশের মত্ইো ২৪ ঘন্টা চোখ খোলা রেখে ডিউটি করছে ।এটি সচরাচর আমাদের চোখে না পড়লেও সম্মানিত মহানগরবাসী, বিভিন্ন মার্কেটের দোকান-মালিক সমিতির সহায়তায় ডিএমপি এই নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হচ্ছে। ২২ রমজানেও কোথাও কোন ছিনতাই, পকেটমার, ইভটিজিং ও অজ্ঞান মলম পার্টির কোন কার্যক্রমের খবর পাওয়া যায়নি।
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে বাস মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় কমিশনার বলেন, ঈদ ও ঈদ পরবর্তী সময়ে সড়ক পথে দূর্ঘটনা এড়াতে গাড়ির চালককে দায়িত্বশীল হয়ে গাড়ি চালাতে হবে। বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস ব্যতীত কোন গাড়ি রাস্তায় চলতে পারবে না। গাড়ির মালিক পক্ষ কোন মাদকাসক্ত ড্রাইভারের হাতে গাড়ি স্টিয়ারিং দিবেন না। সেই সাথে চালক, হেলপার বা পরিবহন সেক্টরের কাউকে মাদকাসক্ত বলে সন্দেহ হলে পুলিশের সহায়তায় ডোপ টেস্ট করান।
আপনার মতামত লিখুন :