স্বপ্না চক্রবর্তী : অবশেষে দ্বিতীয়বার মান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এসিআই সল্টের এসিআই পিওর ব্র্যান্ডের লবণ। গত রোববার বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এক চিঠিতে এসিআইকে বিষয়টি জানায়। একই সঙ্গে এসিআই সল্টের মান বা সিএম লাইসেন্সের ওপর আরো করা দ্বিতীয়বার মান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এসিআই সল্টের এসিআই পিওর ব্র্যান্ডের লবণ। গত রোববার বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন এক চিঠিতে এসিআইকে বিষয়টি জানায়। একই সঙ্গে এসিআই সল্টের মান বা সিএম লাইসেন্সের ওপর আরোপ করা স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, ১৬ মে আবার নমুনা সংগ্রহ করে তাদের পরীক্ষা করা হয়। এ পরীক্ষায় এসিআই সল্ট কৃতকার্য হওয়ায় লাইসেন্সের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হলো।
সম্প্রতি শিল্প মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ২৭ ধরনের ৪০৬টি খাদ্যপণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে ৫২টি মান অনুযায়ী না পাওয়ার বিষয়টি জানায়। এর প্রেক্ষিতে গত ১২ মে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ পণ্যগুলো বাজার থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন। যার মধ্যে এসিআই পিওর সল্টও ছিল। এরপর বিএসটিআই এসিআইসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্যের লাইসেন্স স্থগিত করে। সে স্থগিতাদেশ এবার তুলে নেওয়া হলো।
বিএসটিআই জানায়, এসিআইয়ের লবণে ক্ষারের মাত্রা বা পিএইচ ভ্যালু বিএসটিআই-নির্ধারিত মান অনুযায়ী ছিল না। এ ক্ষেত্রে এসিআইয়ের দাবি ছিল, দোকানে রাখার সময় তাপমাত্রার কারণে পিএইচ ভ্যালুতে সামান্য পরিবর্তন হয়ে থাকতে পারে। তারা এও বলেছে, পিএইচ ভ্যালু অনেক দেশেই লবণের মানের ক্ষেত্রে কোনো প্যারামিটার নয়। যদিও তারা প্রচুর লবণ বাজার থেকে তুলে নিয়েছে। আবার ভ্রাম্যমাণ আদালত ও অন্যান্য সংস্থা বাজার থেকে প্রচুর লবণ জব্দ করে।
এসিআইয়ের লবনের মান ঠিক পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএসটিআইয়ের পরিচালক পরিচালক (সিএম) এস এম ইসহাক আলী বলেন, পরীক্ষা করে মান ঠিক পাওয়ায় এসিআই পিওর সল্টের লাইসেন্সের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখন আর এসিআইয়ের লবণ বাজারজাতে আইনে কোনো বাধা নেই।
আপনার মতামত লিখুন :