শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২৯ মে, ২০১৯, ০১:২০ রাত
আপডেট : ২৯ মে, ২০১৯, ০১:২০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিনিয়োগের নামে কোটি টাকা আত্মসাৎ

রমজান আলী : সিলেটে বিনিয়োগের নামে দেশি এবং প্রবাসী ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ‘এক্সেলসিয়র সিলেট লিমিটেড’ নামের কোম্পানির সাবেক এমডিসহ কয়েক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন একাধিক দেশি-বিদেশী বিনিয়োগকারী। এছাড়াও কোম্পানির বিরুদ্ধে জমি দেখিয়ে একাধিক ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার চেষ্টার অভিযোগও পাওয়া গেছে।

অভিযোগের তীর মূলত প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক জামায়াত নেতা সাঈদ চৌধুরী ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান এবং জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি শাহ জামালের বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে মানব পাচার, ভুয়া পাসপোর্টের ব্যবসা, প্রবাসী টাকা আত্মসাতসহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সাঈদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে লন্ডন প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও এক্সেলসিয়র সিলেট লিমিটেডের পরিচালক মো. মাসুক রহমান বলেন, সাঈদ চৌধুরী যখন এমডি ছিলেন তখন প্রতিষ্ঠানের অনেকের কাছে বিভিন্ন সময় টাকা নেন। টাকা নেয়ার পর সবার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। পাশাপাশি সাঈদ চৌধুরী কখনোই এসব লেনদেনের হিসাব সঠিকভাবে দেননি। আমাকে ডাইরেক্টরশীপ দেয়ার জন্য ৭০ লাখ টাকা নেয়। কিন্তু কখনো আমাকে কোন হিসাব দেয়নি। এভাবে অনেকের কাছ টাকা নিয়ে মোট ৯ কোটি টাকা মেরে দিয়েছেন সাঈদ চৌধুরী।

আমরা সেই টাকার হিসাব চাই। কোম্পানির হিসাবের বাইরে সে আমার সঙ্গে আন্তরিকতা বাড়িয়ে নতুন একটা ব্যবসা করার কথা বলে আরো ১৫ লাখ টাকা নিয়ে বর্তমানে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। অনেক প্রবাসীর কষ্টের টাকা সে মেরে দিয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালে লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাঈদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

আনেন এক্সেলসিয়র লিমিটেডের একাংশের মালিক ও লন্ডন রয়েল রিজেন্সী‘র আব্দুল বারী এবং একাশেংর আরেক মালিক কয়সর খান। লিখিত বক্তব্যে আব্দুল বারী বলেছিলেন, সাঈদ চৌধুরী এক্সেলসিয়র সিলেট নামে একটি প্রজেক্টের জন্য ব্রিটেন প্রবাসীদের কাছ থেকে বিনিয়োগ সংগ্রহ করেন। অনেকের মতো আমি আব্দুল বারী ও কয়সর খান দুজন মিলে তাকে বিশ্বাস করে মোট ১ কোটি ১৬ হাজার ৮৪৫ টাকা বিনিয়োগ করি।

কিন্তু তিনি প্রজেক্টের শুরু থেকে তিনি কোন হিসাব দেননি। পরে বিনিয়োগের অনিশ্চিত ভব্যিষতের কথা টের পেয়ে বিনিয়োগ ফেরত দিতে বলি। এরপর অর্থ ফেরত দেয়ার জন্য বার বার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রক্ষা করেনি সাঈদ চৌধুরী। এছাড়াও বেশকিছু অভিযোগ আনেন তারা। এখনো তারা বিনিয়োগের অর্থ ফেরত পাননি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়