হ্যাপি আক্তার : তাপ প্রবাহের কারণে যশোরে রেণু পোনা উৎপাদনে ধস নেমেছে। পানি থেকে রেণু পোনা পুকুরে ছাড়লেই মারা যাচ্ছে। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন হ্যাচারি মালিকরা। দেশের রেণু পোনার ৬০ শতাংশই উৎপাদন হয় সেখানে। ডিবিসি নিউজ
যশোর শহরের দক্ষিণ প্রান্তের পৌর এলাকার রায়পাড়াসহ পাশের চারটি ইউনিয়সহ আশপাশের এলাকায় গড়ে উঠেছে এই মৎস পল্লী। সেখানে ছোট-বড় প্রায় ৭০টি হ্যাচারি রয়েছে। এসব হ্যাচারিতে নানা ধরনের রেণু পোনা উৎপাদিত হয়। কিন্তু চলতি মৌসুমে অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের কারনে রেণু পোনা উৎপাদন করা যাচ্ছে না। পানি উষ্ণ হয়ে মরা যাচ্ছে।
চাচরা এলাকায় প্রতিদিন সকালে রেণু পোনার হাট বসে। কিন্তু এই তাপদাহের কারনে দুরদুরান্ত থেকে খুব একটা ক্রেতাও আসছে না। যার কারনে অনেক হ্যাচারি বন্ধ রয়েছে।
যশোর হ্যাচারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ গোলদার বলেন, সিজনে প্রতিদিন দুই থেকে তিন কোটি টাকা বিক্রি হতো। কিন্তু গত দুই মাস ধরে আশানুরূপ কিছুই দেখা যাচ্ছে না।
গরমে রেণু পোনা ও মাছ মরে যাওয়ার কথা শিকার করে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে মাছ চাষিদের যথাযথ পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
যশোরের হ্যাচারিগুলোতে বছরে ৫৪ কেজির বিভিন্ন মাছের রেণু পোনা উৎপাদিত হয়। এছাড়া ১২০ কোটি সাদা মাছের পোনা ও ৫ কোটি পাংগাসের পোনা উৎপাদিত হয়। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :