শিরোনাম
◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা ◈ ভারতের নেপাল নীতিতে 'রিসেট বাটন' চাপলেন মোদি, শিক্ষা বাংলাদেশের কাছ থেকে

প্রকাশিত : ২৮ মে, ২০১৯, ০৮:১৮ সকাল
আপডেট : ২৮ মে, ২০১৯, ০৮:১৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পররাষ্ট্রনীতির নানা সংকটের মুখোমুখি মোদী, পাকিস্তান প্রধান চ্যালেঞ্জ

মুসবা তিন্নি: নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরপরই প্রতিবেশী দেশগুলোতে একের পর এক সফর শুরু করেন। এর মাধ্যমে তিনি কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি নতুন করে বিন্যাস কিংবা জোরদারের কাজটি করতেও সক্ষম হন। সাউথ এশিয়া মনিটর

মোদি ৫ বছরের সময়কালে বিশ্বে ভারতের ভাবমূর্তি নতুন করে গড়াকে প্রধান উদ্দেশ্য হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। আর ২০১৯ সালের নির্বাচনে এটি কাজে লাগে। প্রথম চ্যালেঞ্জ অবশ্যই হবে পাকিস্তান। পুলওয়ামা সন্ত্রাসী হামলার পর, যাতে ৪০ নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছে বলে বলা হয়েছে, ইসলামাবাদের সাথে সব ধরনের আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আসছেন ভারত।

অন্যান্য প্রতিবেশী, বিশেষ করে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের সাথে ভারতের সম্পর্কও তাকে নতুন করে মূল্যায়ন করতে হবে। কারণ এসব দেশ চীনের সাথে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করছে। বেইজিং এখন এসব দেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক অংশীদার হিসেবে ভারতের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছে। তবে মোদির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে বিশ্বের দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সাথে সম্পর্ক পুনঃবিন্যাস করা। তিনি তার মেয়াদের প্রথম অর্ধে ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রের খুবই কাছে নিয়ে গিয়ে ন্যাটো জোটের (যাদের পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্য নির্ধারিত হয় মার্কিন স্বার্থের আলোকে) অতিরিক্ত সদস্যের পর্যায়ে পরিণত করেছিলেন। এই চরম নৈকট্যকে চীন বৈরী পদক্ষেপ বিবেচনা করে। এর জবাবে চীনের প্রভাবশালী প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ভারতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ভুটানের সাথে থাকা ত্রিদেশীয় সীমান্তে মুখোমুখি হন। গত কয়েক মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুল্ক বাড়ানোর হুমকি দিতে দেখা গেছে ভারতকে। মার্কিন কোম্পানিগুলোর স্বার্থ হানির জন্যও মোদিকে দোষী সাব্যস্ত করেন ট্রাম্প।

অন্যদিকে, উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি) ভুক্ত দেশগুলো, বিশেষ করে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে ভারতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা তার জন্য সহজই হবে।উল্লেখ্য, ভারতের প্রায় এক কোটি লোক মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে কাজ করে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর (তিনিও অতি স¤প্রতি জয়ী হয়েছেন) সাথে মোদির সম্পর্ক খুবই ভালো। জ্বালানি চাহিদা পূরণ করার জন্য ইরানের সাথে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবেন মোদি। ভারত-ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন অবাধ বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে যে অচলাবস্থা রয়েছে, তার অবসান ঘটাতে হবে দ্রæত। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়