মহসীন কবির: ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ও ফেনী আওয়ামী লীগের দুই নেতাসহ মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হবে ২৯ মে বুধবার। পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার এ খবর জানিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে ধানমন্ডিতে পিবিআই সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার তদন্তের সর্বশেষ অগ্রগতি জানাতে আজকের সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই প্রধান বলেন, অভিযুক্ত ১৬ জনের মধ্যে এজহার নামীয় ৮ জন। আর এজহারের বাইরে তদন্তে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় আরও ৮জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হচ্ছে কাল। তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতারকৃতদের প্রত্যেককে একাধিকবার রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অভিযুক্ত এই ১৬ জনের মধ্যে ১২ জন ১৬৪ ধারায় নুসরাত হত্যায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগীতা ও জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ১৬ জন হচ্ছেন, এস এম সিরাজউদ্দোলা (৫৭), নুর উদ্দিন (২০), শাহাদাত হোসেন শামীম(২০), মাকসুদ আলম ওরফে মোকসুদ কাউন্সিলর (৫০), সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের(২১), জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন (১৯), হাফেজ আব্দুল কাদের (২৫), আবছার উদ্দিন (৩৩), কামরুন নাহার মনি (১৯), উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে চম্পা/শম্পা (১৯), আব্দুর রহিম শরীফ (২০), ইফতেখার উদ্দিন রানা (২২), ইমরান হোসেন ওরফে মামুন (২২), মোহাম্মদ শামীম (২০), রুহুল আমিন (৫৫), মহিউদ্দিন শাকিল (২০)।
গত ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিমের (এইচএসসি সমমান) আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসাকেন্দ্রে যান নুসরাত। এরপর কৌশলে তাকে ৪-৫ জন বোরকা পরিহিত ব্যক্তি ছাদে ডেকে নিয়ে তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায়। পরে নুসরাতকে উদ্ধার করে তার স্বজনরা প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। এরপর চিকিৎসকরা তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। ১০ এপ্রিল রাতে নুসরাত মারা যান।
আপনার মতামত লিখুন :