শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি: কী পাচ্ছে বাংলাদেশ, কী হারাতে পারে? ◈ রাতেই সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা (ভিডিও) ◈ চাপাতি হাতে ব্যাগ ছিনিয়ে পুলিশের সামনেই হেঁটে গেলো ছিনতাইকারী, ভিডিও ভাইরাল ◈ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগার নায়ারা রিফাইনারির ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা ◈ রাতের আকাশে ভেসে উঠলো ‘নাটক কম করো পিও’ (ভিডিও) ◈ জটিল ভয়ানক যে রোগে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! ◈ কুড়িগ্রামে চাঁদা দাবি করা জামায়াতের সেই নেতা সাময়িক বহিষ্কার ◈ বড়াইগ্রামে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে দুই পরীক্ষার্থী ফেল! ◈ টাঙ্গাইলে পুলিশ হেফাজতে বিএনপি নেতার রহস্যজনক মৃত্যু ◈ এনসিপি’র মার্চ টু গোপালগঞ্জ তলিয়ে দেখা দরকার: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

প্রকাশিত : ২৮ মে, ২০১৯, ০২:১৬ রাত
আপডেট : ২৮ মে, ২০১৯, ০২:১৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পুলিশি হেফাজতে ‘ইয়াবা ডন’ সাইফুল , ঈদের পরে আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণ

কেএম নাহিদ : দীর্ঘদিন নিরুদ্দেশ থাকার পর অবশেষে আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে ‘ইয়াবা ডন’ সাইফুল করিম। এজন্য শনিবার (২৫ মে) রাত থেকে পুলিশের হেফাজতে আছে সে। ঈদের পর কক্সবাজারের ইয়াবা কারবারিদের দ্বিতীয় দফায় আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সে আত্মসমর্পণ করবে। ২০১৮ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১১৫১ জনের মাদক কারবারির তালিকার এক নম্বরে ছিল এই সাইফুল। রোববার (২৬ মে) রাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি বিশ্বস্ত স‚ত্রে এই তথ্য জানা গেছে। বাংলা ট্রিবিউন

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, শনিবার রাত ১১টার দিকে দুবাই থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছে ‘ইয়াবা ডন’ হাজি সাইফুল করিম। এসময় ইয়াবা কারবারিদের আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ায় সঙ্গে যুক্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে হেফাজতে নেয়। রবিবার (২৬ মে) সকালের দিকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশের কাছে নেওয়া হয় তাকে। এখন পুলিশ লাইনে রাখা হয়েছে তাকে। ঈদের পর একটি আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অন্যান্য ইয়াবা কারবারিদের সঙ্গে আত্মসমর্পণ করবে সে।

তবে এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে এরকম কোনও তথ্য নেই।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, কাগজে কলমে সাইফুল করিম টেকনাফ স্থলবন্দরের একজন সিএন্ডএফ (আমদানি-রফতানিকারক) ব্যবসায়ী। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে কাঠ আমদানি করে সে। তবে কাঠ আনার আড়ালে এনেছে ইয়াবার চালান নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সাইফুল করিমের ভগ্নিপতি সাইফুল ইসলামও এই ইয়াবা সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। এছাড়াও তার মামা, মিয়ানমারে মংডুর আলী থাইং কিউ এলাকার মোহাম্মদ ইব্রাহিমও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত।

প্রত্যেক গোয়েন্দা রিপোর্টের শীর্ষে সাইফুল করিম এবং তার পরিবারের সদস্যদের নাম রয়েছে। গত মাসেও দুদকের পক্ষ থেকে তার নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার পাঁচ ভাইয়ের বিরুদ্ধেও ইয়াবা ব্যবসায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ৩ মে সাইফুলের ছোট ভাই মাহবুব ও রাশেদকে টেকনাফ নিজ বাড়ি থেকে ১০ হাজার ইয়াবা ও ৪টি অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ। চট্টগ্রাম বার্তা টুয়েন্টিফোর নামক একটি পোর্টালের সম্পাদক পরিচয় দিতেন তারা। এর আগে গত বছর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক হন বড় ভাই মুন্না।

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছেন, মিয়ানমারের ইয়াবা কারখানার মালিকরা লাখ লাখ ইয়াবার চালান পাঠায় সাইফুলের কাছে। ইয়াবা ব্যবসার সুবিধার্থে মিয়ানমার-বাংলাদেশ চলাচলের জন্য একাধিক জাহাজ কিনেছে সাইফুল।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতি প্রথম দফায় ১০২ জন ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করেছে কক্সবাজারে। তখন সাইফুল করিমের আত্মসমর্পণের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। এখন দ্বিতীয় দফা আত্মসমর্পণের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পুলিশের কাছে ধরা দিয়েছে সে। সম্পাদনায় : কায়কোবাদ মিলন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়