ফাতেমা ইসলাম : ব্যবসা সহজীকরণের ১০টি সূচকের মধ্যে ৮টিতেই উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। তবে, এখনও মাঠ পর্যায়ে এর সুফল পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ করেছেন উদ্যোক্তারা। অর্থনীতিবিদদের মতে, সূচকে উন্নতি করতে না পারলে, প্রত্যাশিত বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়া সম্ভব নয়। যদিও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডা আশা করছে, বিশ্বব্যাংকের পরবর্তী প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থানের উন্নতি ঘটবে। ডিবিসি
এতদিন বিশ্বব্যাংকের হিসেবে কারখানায় নতুন বিদ্যুৎ পেতে সময় লাগতো গড়ে ৪০৪ দিন। এখন তা নেমে এসেছে ১০৭ দিনে। যদিও ২৮ দিনে নামিয়ে আনার লক্ষ্য আছে। উন্নতি হয়েছে কর প্রদান সূচকেও। এখন, এক সপ্তাহের মধ্যে মূসক ফেরৎ পাওয়া যায়, যেখানে আগে সময় লাগতো ১৮ সপ্তাহ। বিডা'র সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতি প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, ডুয়িং বিজনেস রিলেটেড সকল মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে কাজ চলছে। এইবার আমরা একটা বড় ধরনের ডুয়িং বিজনেসের আশা করছি। তবে, মনে রাখতে হবে আমরা যদি অন্যান্য দেশের চেয়ে বেশি ভালো করি তাহলে এটা সঠিকভাবে ফুটে উঠবে। যেখানে অন্য দেশগুলোকেও ছাড়িয়ে যেতে হবে।
ব্যবসা শুরু করতে ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ট্রেড লাইসেন্স, নামের স্বীকৃতি দরকার হয়। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই কমেছে সময় ও খরচ। নির্মাণ অনুমতিতে ১০ ধরণের জরিপ ও রিপোর্ট থেকে বিনিয়োগকারীকে রেহাই দেয়া হয়েছে। ভ‚মি ব্যবহারের অনুমতি এবং প্রকল্পের অনুমোদন মিলছে আগের চেয়ে কম সময়ে। সহজ হয়েছে সম্পত্তি নিবন্ধন। ২৮ দিনের মধ্যে খতিয়ান ও মালিকানা বুঝে পাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। আমদানি-রপ্তানিতে সময়-খরচ দুইই কমেছে।
ডিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি সবুর খান বলেন, অনুমতি প্রদান এবং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে আমাদের অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে, মাঠ পর্যায়ে কিন্তু আমাদের এখনো সেই সমস্যাগুলো রয়ে গেছে। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :