এম জহিরুল ইসলাম : পরিবেশবান্ধব বা লিড সনদ পাওয়া সবচেয়ে বেশি তৈরি পোশাক কারখানা এখন বাংলাদেশে। এরই মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল ইউএসজিবিসির সনদ পেয়েছে ৮৫ কারখানা। সনদ পেতে নিবন্ধিত হয়েছে আরও তিনশটি। এসব উদ্যোগ পোশাক খাতের ভাবমূর্তি বাড়াতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের। ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি
রানা প্লাজা, তাজরীন ফ্যাশনের দুর্ঘটনার জন্য সারাবিশ্বে সমালোচনার মুখে পড়ে দেশের তৈরি পোশাক খাত। নানা সংস্কার কার্যক্রমের কারণে কারখানাগুলোর পরিবেশ এখন বেশ প্রশংসা পাচ্ছে। এতেই থেমে নেই অর্জন। মাত্র কয়েক বছরে পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানা স্থাপনে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল-ইউএসজিবিসির হিসাবে, বিশ্বের সেরা দশ পরিবেশবান্ধব বা সবুজ পোশাক কারখানার ছয়টিই এখন বাংলাদেশে। গত এক বছরে লিড সনদ পেয়েছে দশটি কারখানা। সব মিলিয়ে পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে ৮৫টি। এর মধ্যে প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে ২৩, গোল্ড ৫৩, সিলভার ৭ ও সাধারণ মানে ২টি। পরিবেশবান্ধব কারখানা থেকে দুই ধরনের সুবিধা পাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। এসব কারখানায় জ্বালানি ও পানি খরচ কম হয় প্রায় বিশ থেকে ত্রিশভাগ। অন্য কারখানার তুলনায় দুই শতাংশ কম দিতে হয় করপোরেট কর।
উদ্যোক্তারা বলছেন, সাধারণ কারখানার তুলনায় সবুজ কারখানা তৈরিতে খরচ বেশি পঁচিশ থেকে ত্রিশ ভাগ। বাড়তি বিনিয়োগ হলেও এর জন্য ক্রেতাদের কাছে বাড়তি দাম মিলছে না।
গ্রিন বিজনেস সার্টিফিকেশন ইনকরপোরেশন জিবিসিআইয়ের হিসাবে, পোশাক কারখানা ছাড়াও ব্যাংকসহ অন্য খাতের প্রতিষ্ঠানও দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানা বা অফিস তৈরি করছে। সব মিলিয়ে দেশে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ৭শ।
আপনার মতামত লিখুন :