কেএম নাহিদ : বাংলাদেশের সেরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তালিকা প্রকাশ করে গবেষনায় বলা হয়েছে, মানের উন্নতি করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ। যা কাটিয়ে উঠতে না পারলে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়া ঝুঁকিতেও পড়তে পারে। দেশের শতাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের থাকলেও মূলত ৩৬ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা বিষয় বিবেচনা করে সিদ্দান্ত নিয়ে এ তালিকা তৈরি করেছে ওয়ারজি কোয়েষ্ট রিসার্চ লি: নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। জরিপে কি কি মাপকাঠি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে রোববার বিবিসি’র সঙ্গে সাক্ষাতকারে সে কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুরুল হক।
তিনি বলেন, দুটো গ্রুপ থেকে ডাটা নেয়া হয়েছে। একটি হলো একাডেমিক। আর একটি এমপ্লেয়ার থেকে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কোয়ালিটি, ছাত্রদের ইন্টারেষ্ট, কোয়ালিটি অব গাইডেন্স, কোয়ালিটি অব ফ্যাকাল্টি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মপরিবেশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো, লাইব্রেরি, ল্যাব, বিবেচনা করে এ জরিপ চালানো হয়।
কেনো ১০১টির মধ্যে ৩৬টি কেনো বিবেচনায় আনা হয় বিবিসি’র এ প্রশ্নে মঞ্জুরুল হক বলেন, ১০১টির মধ্যে যারা কোয়ালিফাই করেনি তাদের এ বিবেচনায় আনা হয়নি। বিভিন্ন মাপকাঠিকে ৩৬টি কে এই বিবেচনায় আনা হয়। এছাড়া ১০১টির মধ্যে ৮টি বিশ^বিদ্যালয়ের এখনো একাডেমিক কার্যক্রম গড়ে তুলতে পারেনি, ১২টি আছে তাদের ব্ল্যাক লিষ্টে রাখা হয়েছে। ৪১টি আছে যাদের কেনো ছাত্র চাকুরিতে যোগ দেয়নি। আর একটা বিশ^বিদ্যালয় আছে তাদের ছাত্র সংখ্যা কম। আর তিনটা বিশ্ববিদ্যালয় আছে তারা একটা মাত্র বিশেষ বিষয় চালু আছে। এভাবে বিশ^বিদ্যালয়গুলো জরিপের আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের এ গবেষণায় ফলে বিশ^বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে । বিশ^বিদ্যালয়গুলো আমাদের এ গবেষণা ভালোভাবেই নিয়েছে। বিশ^বিদ্যালয়গুলো ইনভেস্ট করা শুরু করেছে। তাদের দুর্বলতা যা আছে, তা কাটিয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছে। আমরা যদি ২০১৭ সঙ্গে তুলনা করি দেখা যাবে, কিছু কিছু জায়গায় মান বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে টিকে থাকতে হলে তাদের অবশ্যই ইনভেস্ট করতে হবে মান বাড়াতে হবে। তা না হলে অনেক বিশ^বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে। সম্পাদনায়: কায়কোবাদ মিলন।