মঞ্জুরে খোদা টরিক : আমাদের স্কুলের মৌলভী স্যার আমাদের আদব-কায়দা শেখাচ্ছেন! এই তোরা কি তোদের বাব-মাকে আদাব-সালাম দিস? আমরা বললাম না তো স্যার। কি বলিস তোরা? এখন থেকে বাবা-মা’র সঙ্গে দেখা হলেই সালাম দিবি! এর মধ্যে একজন বললো, বাবা-মা’র সঙ্গে দিন-রাতই দেখা হয়, তাহলে তো তাদের সারাদিনই সালাম দিতে হবে? স্যারা বললেন, সারাদিন দরকার নেই, যখন বাসায় ফিরবি আর কোথাও যাবি তখন সালাম দিবি! স্যারের আদেশ। আমাদের এক স্কুল বন্ধু রাজু, রায়পুরে থাকে। ওর বাবা কওমী জুটমিলে চাকরি করতো। ও বাসায় ফিরে দেখে ওর বাবা ভাত খাচ্ছে এবং রাজু স্যারের আদেশ মেনে... বাবাকে ব্যাপক উৎসাহে বললো, আব্বা আসসালামু আলাইকুম...! আর যায় কোথায়? বাবা তো মহারেগে গিয়ে বললেন, হারামজাদা আমাকে সালাম দেস, কতোবড় কথা...? তোদের স্কুল থেকে এমন আদব-কায়দা শেখাচ্ছে? আমার সঙ্গে বেয়াদবী, তোর একদিন কি আমার একদিন?
ছাত্রলীগের ধান কাটা নিয়ে নাটকের ছবি দেখলাম (যদি ফটোশপ না হয়) তা দেখে কৃষকরা না বলে বসে, তোমরা আমাগো দুরবস্থা দেখে আমগো লগে রঙ্গ করতে আসছো, ইয়ার্কি, ফাজলামি করতে আইছো না? ফটোশেসন করতে আইছো? দূরহো এইখান থেইক্যা...? কয়েকদিন আগে লিখেছিলাম ছাত্র সংগঠনগুলোকে কৃষকের পাশে... ধান কাটায় দেখতে চাই! কিন্তু এখন যা দেখছি বিষয়টি রীতিমতো তামশায় পরিণত হয়েছে যেন? ধান কাটলেই কৃষকের কাজ শেষ হয়ে যায় না, ধান কেটে আঁটি বানাতে হয়, তা মাথায় করে তাদের বাড়ির উঠানে নিতে হয়, মাড়াই করতে হয়, শুকাতে হয় ইত্যাদি। ধান কাটার সঙ্গে গ্রামীণ দিনমজুরের আয়-ইনকামের সম্পর্ক আছে। তাদের স্বার্থের কথাও চিন্তুা করেন ভাইবোনেরা। কোনো ব্যাংকের ভাইয়েরাও দেখলাম ধান কাটতে গেছেন! তাইলে আপনাদের তাদের ধান কাটার দরকার নেই, বরং বিনা সুদে কৃষকদের কিছু টাকাপয়সা ধার দেন অনেক উপকার হবে?
ভাইয়েরা ধান কাটা অনেক হইছে, এবার পারলে কৃষকের ধানের দামের ব্যবস্থা করেন। আমলা-মন্ত্রী ও দুইনম্বরী ব্যবসায়ীরা যারা এর নাটের গুরু তারা আরামে ঘুমাইতেছে, পারলে ওদের ঘুম হারাম করেন। ওদের গ্রামে ধইর্যা নিয়া কৃষকের ধান কেনার ব্যবস্থা করেন। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :