আমিরুল ইসলাম : প্রশিক্ষণ পেয়েও সৃজনশীল প্রশ্নের চর্চা করছেন না শিক্ষকরা। সব শিক্ষকই সৃজনশীল বিষয়ে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। প্রশিক্ষণ পাননি এমন শিক্ষক এখন খুঁজে পাওয়া যাবে না। আবার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও অর্থের বিনিময়ে বাইরে থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করছে অনেক প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে সাড়ে ১৩ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাজার থেকে কেনা প্রশ্নপত্র দিয়ে বার্ষিক, অর্ধবার্ষিক ও অন্যান্য একাডেমিক পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। এতে শিক্ষকদের সৃজনশীল চর্চা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এমনটা কেন করা হচ্ছে এবং এ সমস্যা সমাধানের উপায় কি জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন বলেছেন, স্থানীয় শিক্ষা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসন একটু শক্ত অবস্থান নিলে কোনো বিদ্যালয় প্রশ্ন কিনে নিতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, প্রশ্ন কিনে নেয়ার পেছনে সৃজনশীল প্রশ্ন করতে না পারা শুধু কারণ নয়, এটার পেছনে একটা বড় বাণিজ্য আছে। নোটবই ও গাইডবইয়ের পেছনে যেমন বাণিজ্য আছে প্রশ্নপত্র কেনার পেছনেও তেমন বাণিজ্য আছে। এ বাণিজ্য বন্ধ করতে গেলে স্থানীয়ভাবে শক্ত অবস্থানে যেতে হবে। কেন্দ্র থেকে এটা বন্ধ করা মাউশির পক্ষেও সম্ভব নয়, মন্ত্রণালয়ের পক্ষেও সম্ভব নয়। গত দশ বছরে শিক্ষকদের যথেষ্ট প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ফিল্ডে খোঁজ নিলেও দেখা যাবে রেগুলার প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণের অভাবে না, যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রশ্নপত্র তৈরি করছে না, তারা বাণিজ্যের জন্য করছে না।
আপনার মতামত লিখুন :