আব্দুর রাজ্জাক : কংগ্রেসকে উপক্ষো করেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুক্রবার এ অনুমোদন দেন। ট্রাম্প এ অস্ত্রবিক্রি অনুমোদন করতে ইরানের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। রয়টার্স
সৌদির নেতৃত্বে আরব জোটের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এই অস্ত্রচুক্তি পুনর্বিবেচনার তালিকায় রেখেছিলো মার্কিন কংগ্রেস। এটি আটকে দেয়ারও প্রক্রিয়া অব্যাহত ছিলো। কিন্তু শুক্রবার ট্রাম্প প্রশাসন কংগ্রেশনাল কমিটিকে জানায়, ২২টি সামরিক অস্ত্রবিক্রি অনুমোদন দেয়া হচ্ছে। তবে এতে ট্রাম্পসহ ভবিষ্যত প্রেসিডেন্টদের অস্ত্রবিক্রি চুক্তি পুনর্বিবেচনায় কংগ্রেসের ক্ষমতা খর্ব হয়েছে বলে অভিযোগ করেন খোদ রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্যরাও।
দেশের অভ্যন্তরে মানবাধিকার লংঘন, ইয়েমেনে সৌদি জোটের হামলায় হাজারো মানুষের মৃত্যু, দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি ও তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কন্সুলেটে সাংবাদিক জামাল খাসোগজি হত্যা নিয়ে রিয়াদের বিরুদ্ধে নানাবিধও মানবতাবিরোধী অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগগুলোর প্রেক্ষিতে উক্ত অস্ত্রচুক্তিটি বাতিল করতে দাবি জানিয়ে আসছিলো মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
অস্ত্রবিক্রি অনুমোদন বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ও ইরানের বিরুদ্ধে সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সৌদি আরব, আমিরাত ও জর্ডানকে অস্ত্র দেয়া প্রয়োজন ছিলো।
উল্লেখ্য, সৌদি আরবের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অভিযোগ এনে দেশটির কাছে অস্ত্রবিক্রি চুক্তি আটকে দিয়েছে জার্মানিও।
আপনার মতামত লিখুন :