শিরোনাম
◈ অবশেষে মার্কিন সিনেটে সাড়ে ৯ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ পাস ◈ কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল চলাচল বন্ধ ◈ ইউক্রেনকে এবার ব্রিটেননের ৬১৭ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ◈ থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ◈ জিবুতি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবিতে ৩৩ জনের মৃত্যু ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ এফডিসিতে মারামারির ঘটনায় ডিপজল-মিশার দুঃখ প্রকাশ ◈ প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ◈ প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাত চেয়ারম্যানসহ ২৬ জন নির্বাচিত ◈ বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত : ২৫ মে, ২০১৯, ০২:৪৪ রাত
আপডেট : ২৫ মে, ২০১৯, ০২:৪৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীত্বের প্রার্থীতার দৌড়ে ২৫ এমপি, এগিয়ে বরিস জনসন

লিহান লিমা: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে পদত্যাগের ঘোষণা দেয়ার পরপরই তার উত্তরসূরী কে হবেন এটি নিয়ে হিসেব-নিকেশ শুরু হয়ে যায়। ডেইলি মেইল জানায়, প্রায় ২৫জন সিনিয়র এমপি কনজারভেটিভ দলের নেতৃত্বের জন্য লড়াই করতে পারেন। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন ব্রেক্সিটার বরিস জনসন, ডোমিনিক রাব,ও মাইকেল গভ। শীর্ষ তালিকায় আরো আছেন জেরেমি হান্ট, সাজিদ জাভিদ, পেনি মরডেন্ট ও রোরি স্টুয়ার্ট।

ওডসচেকার ওয়েবসাইট এর সমীক্ষা জরিপের ফলাফল দিয়ে সিএনএন এর প্রতিবেদনে বলা হয়, নেতৃত্বের প্রশ্নে সাবেক ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের অবস্থান থেরেসার পদত্যাগের পর ৪১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪৭ শতাংশ হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে থেরেসার পাশে থাকা কট্টর ব্রেক্সির বরিস জনসন (৫৪) ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় নমনীয়তার অভিযোগ গত জুলাইতে পদত্যাগ করেন। প্রধানমন্ত্রীত্বের অভিলাষ গোপন রাখেন নি তিনি। ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী ডোমিনিক রাব (৪৫) নভেম্বরে থেরেসার চুক্তির সঙ্গে একমত হতে না পারায় সরে যান। থেরেসার অবস্থানের প্রকাশ্য সমালোচনা করা রাব তরুণ কনজারভেটিভ নেতৃত্বের একজন। থেরেসাকে পদত্যাগের জন্য ক্রমাগত চাপ দেয়া কমন্স নেতা আন্দ্রা লিডসন (৫৬) গণভোটের ফলাফল মোতাবেক ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত না হওয়ার অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। লিডসন এর আগে ২০১৬ সালেও থেরেসার সঙ্গে নেতৃত্বের লড়াই করেছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট (৫২) প্রথমে ইইউ থাকার পক্ষে মত দিলেও পরে ব্রেক্সিটারদের দলে যোগ দেন। ২০১৬ সালে থেরেসা কর্তৃক বহিষ্কৃত হওয়া মাইকেল গভ প্রথমে বরিস জনসন ও পরে তার সঙ্গে দ্ব›েদ্ব জড়িয়ে থেরেসার ব্রেক্সিট প্রস্তাবনাকেই সমর্থন করেন, তবে থেরেসার ভবিষ্যত শঙ্কায় পড়লে নীরবতা অবলম্বন করেন। নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেনি মরডেন্ট ব্রেক্সিট প্রসঙ্গে বার বার সরে যাওয়ার হুমকি দিলেও এখনো ক্যাবিনেটেই রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীত্বের প্রার্থীতার দৌড়ে থাকা আরেক প্রার্থী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ থেরেসাকে ক্যাবিনেট থেকে সরাতে সামনে থেকে কথা বলেছেন, অভিবাসন ও ব্রিটেনে ছুরি হামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি মতপার্থক্যে জড়িয়েছিলেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক টোরিদের মধ্যে নতুন নেতৃত্ব চান বলে স্লোগান দিয়েছেন। ব্রিটিশ রাজপরিবারের দুই রাজপুত্র হ্যারি ও উইলিয়ামের শিক্ষক রোরি স্টুয়াট গণভোটে ইইউ পক্ষে ভোট দিলেও এখন সফট ব্রেক্সিটের কথা বলছেন।

৭ জুন থেরেসা সরে যাওয়ার পর ১০ তারিখ থেকে নতুন নেতৃত্বের সন্ধান করবে কনজারভেটিভ দল। ইতোমধ্যেই ব্রেক্সিট পার্টির প্রধান নাইজেল ফারাজে বলেছেন, এমন কাউকে নির্বাচিত করতে হবে যিনি ব্রিটেনকে ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে বের করে আনতে আরো কাজ করবে। টুইট বার্তায় তিনি বলেন, এটি থেকে কনজারভেটিভ দলের শিক্ষা নেয়া উচিত। তাদের অবশ্যই একজন ইইউ-বিরোধী নেতা নির্বাচন করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়