ফাতেমা ইসলাম : এই দু’জনকেই তৃণমূলের আগামী দিনের ‘কাণ্ডারী’ মনে করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দু’জনের এক জন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ‘ঘর’ দারুণভাবে বাঁচাতে পারলেও, পারলেন না তাঁর দায়িত্বে থাকা জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘাসফুল ফোটাতে। অন্য জন শুভেন্দু অধিকারী নিজের সম্মানজনক ব্যবধান দিতে পারলেন না। আনন্দবাজার
তৃণমূল নেত্রীর ভাইপো অভিষেক তার নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে এ বার ৩ লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতেছেন। ওই কেন্দ্রে দ্বিতীয় বিজেপির নীলাঞ্জন রায় বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেন, ভোটের দু’দিন আগে থেকে বহিরাগত এনেছিল তৃণমূল। গণনায় তো অনেক বুথই বিজেপি-শূন্য।
পঞ্চায়েতে ভোট দিতে না পারার ‘ক্ষোভে’র জবাব দিতেই এ বার মানুষ এই জেলাগুলোয় তৃণমূলের থেকে মুখ ঘুরিয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি, তমলুকে শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী, ভাই দিব্যেন্দু এ বারও জিতেছেন ঠিকই। কিন্তু গত বার দু’জনেরই জয়ের ব্যবধান ২ লক্ষের বেশি ছিলো। সেখানে দু’জনেরই ভোট কমেছে ১ লক্ষেরও বেশি। এই ‘ব্যর্থতা’ কার্যত শুভেন্দুরই বলে রাজনৈতিক শিবিরের ধারণা।
আপনার মতামত লিখুন :