শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৪ মে, ২০১৯, ০৩:৫০ রাত
আপডেট : ২৪ মে, ২০১৯, ০৩:৫০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ ভেবেছিলো রোহিঙ্গা সংকট স্থায়ী হবে না কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন , বললেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কর্মকর্তা

মঈন মোশাররফ : হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক মীনাক্ষি গাঙ্গুলী বলেন, নৃশংস দমন অভিযানের পর মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসার প্রায় দুই বছর পর বাংলাদেশে অবস্থানরত দুই লাখ ৭০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে পরিচয়পত্র দেয়া হয়েছে। তাদের স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের অধিকার সুরক্ষিত রাখার কথাও সম্প্রতি বলেছে জাতিসঙ্ঘ। রোহিঙ্গাদের জন্য এটি ইতিবাচক খবর। সাউথ এশিয়ান মনিটর

তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের চলমান ঢলে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের আগমন শুরুর সময় বাংলাদেশ মনে করেছিলো, সমস্যাটির স্থায়িত্ব হবে খুবই কম। কিন্তু দুই বছরেও মিয়ানমার তার অবস্থান বদল করেনি। ১২ লাখ উদ্বাস্তু ঘিঞ্জি ক্যাম্পগুলোতে অবস্থান করছে। তাদের চলাচলের স্বাধীনতা নেই, তাদের চাকরি, শিক্ষা ও সামাজিক সেবার অধিকার সীমাবদ্ধ। চীনা চাপের মুখে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উদ্বাস্তু প্রত্যাবাসন চুক্তিতে সই করে। কিন্তু এ ধরনের একটি চেষ্টা গত নভেম্বরে ব্যর্থ হয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব গত মার্চে জাতিসঙ্ঘে বলেন যে, সহায়ক পরিবেশ না থাকায় একজন রোহিঙ্গাও স্বেচ্ছায় রাখাইনে ফিরে যেতে নারাজ।

তিনি জানান, প্রত্যাখ্যান করার মূল্য যদি অসহনীয় হয়ে পড়ে, তবেই কেবল মিয়ানমার নিরাপদ ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবর্তনের পরিবেশ সৃষ্টি করবে বলে মনে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ভেটো শক্তির অধিকারী চীন ও রাশিয়া জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের বিচার করা, অবরোধ আরোপ করা এমনকি বৈশ্বিক অস্ত্র অবরোধও প্রতিরোধ করে আসছে। ভারতও ইতিবাচক পরিবর্তনের শক্তিতে পরিণত হতে পারে যদি সে তার নিজস্ব রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের মিয়ানমারে পাঠিয়ে দেয়ার বদলে রোহিঙ্গাদের অধিকার সুরক্ষা ও তাদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে মিয়ানমারকে বাধ্য করার জন্য আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের সাথে যোগ দেয়। সম্পাদনায় : কায়কোবাদ মিলন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়