মঈন মোশাররফ : হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক মীনাক্ষি গাঙ্গুলী বলেন, নৃশংস দমন অভিযানের পর মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসার প্রায় দুই বছর পর বাংলাদেশে অবস্থানরত দুই লাখ ৭০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে পরিচয়পত্র দেয়া হয়েছে। তাদের স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের অধিকার সুরক্ষিত রাখার কথাও সম্প্রতি বলেছে জাতিসঙ্ঘ। রোহিঙ্গাদের জন্য এটি ইতিবাচক খবর। সাউথ এশিয়ান মনিটর
তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের চলমান ঢলে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের আগমন শুরুর সময় বাংলাদেশ মনে করেছিলো, সমস্যাটির স্থায়িত্ব হবে খুবই কম। কিন্তু দুই বছরেও মিয়ানমার তার অবস্থান বদল করেনি। ১২ লাখ উদ্বাস্তু ঘিঞ্জি ক্যাম্পগুলোতে অবস্থান করছে। তাদের চলাচলের স্বাধীনতা নেই, তাদের চাকরি, শিক্ষা ও সামাজিক সেবার অধিকার সীমাবদ্ধ। চীনা চাপের মুখে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উদ্বাস্তু প্রত্যাবাসন চুক্তিতে সই করে। কিন্তু এ ধরনের একটি চেষ্টা গত নভেম্বরে ব্যর্থ হয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব গত মার্চে জাতিসঙ্ঘে বলেন যে, সহায়ক পরিবেশ না থাকায় একজন রোহিঙ্গাও স্বেচ্ছায় রাখাইনে ফিরে যেতে নারাজ।
তিনি জানান, প্রত্যাখ্যান করার মূল্য যদি অসহনীয় হয়ে পড়ে, তবেই কেবল মিয়ানমার নিরাপদ ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবর্তনের পরিবেশ সৃষ্টি করবে বলে মনে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ভেটো শক্তির অধিকারী চীন ও রাশিয়া জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের বিচার করা, অবরোধ আরোপ করা এমনকি বৈশ্বিক অস্ত্র অবরোধও প্রতিরোধ করে আসছে। ভারতও ইতিবাচক পরিবর্তনের শক্তিতে পরিণত হতে পারে যদি সে তার নিজস্ব রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের মিয়ানমারে পাঠিয়ে দেয়ার বদলে রোহিঙ্গাদের অধিকার সুরক্ষা ও তাদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে মিয়ানমারকে বাধ্য করার জন্য আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের সাথে যোগ দেয়। সম্পাদনায় : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :