শিরোনাম
◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল

প্রকাশিত : ২৩ মে, ২০১৯, ১০:০১ দুপুর
আপডেট : ২৩ মে, ২০১৯, ১০:০১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন, নয়াপল্টন টু নাইটিঙ্গেল!

এইচ এম জামাল: প্রায় ১৫ মাস কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার মুক্তির দাবিতে মাঝেমধ্যে ঝটিকা মিছিল করেন দলের কিছু নেতাকর্মী। তবে সেসব মিছিলও থাকে মাত্র কয়েক’শ গজের মধ্যে সীমাবদ্ধ। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। আর দলীর নেত্রীর মুক্তির দাবিতে এখান থেকে মিছিল বের করে কতিপয় নেতাকর্মী নয়াপল্টন সন্নিহিত নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবার নয়াপল্টনেই শেষ করেন। ঢাকা টাইমস

ইদানীং মিছিলে কর্মীদের উপস্থিতি খানিকটা বেড়েছে। কিন্তু রাজধানীর আর কোথাও মিছিল-সমাবেশ না থাকায় ক্ষুব্ধ দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। দলীয় প্রধান কারাবন্দি হওয়ার পর শীর্ষ নেতাদের কয়েকজন তার মুক্তির দাবিতে জোরালো আন্দোলনের তাগিদ দিয়ে আসছেন। তবে এখন পর্যন্ত দায়িত্বশীলরা প্রত্যাশিত কোনো কর্মসূচি দিতে পারেননি। এ নিয়ে দলে নানা মতভেদও ফুটে ওঠেছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে প্রথমে প্রত্যাখ্যান,পরে অংশগ্রহণ, আবার নির্বাচিতদের সংসদে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত, সেটা ভেঙে সংসদে যোগদান-এমন হ য ব র ল নেতৃত্বের কারণে চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য আদৌ কোনো কর্মসূচি দিতে পারবে কি না তা নিয়ে সন্দিহান দলটির মধ্য সারির নেতারা।
অবশ্য এ অবস্থায়ও কিছুটা সক্রিয় দেখা গেছে দলটির অঙ্গসংগঠনগুলোকে। এক দিন পর পর এসব সংগঠনের নেতাকর্মীরা সুযোগ পেলেই বিক্ষোভ করছেন। এসব মিছিলের সবগুলোতেই নেতৃত্বে থাকেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তবে এ নিয়ে সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যেই ক্ষোভ রয়েছে। তারা বলছেন, এ ধরণের বিক্ষোভে নেত্রীর মুক্তি মিলবে না। এ জন্য কঠোর কর্মসূচি দিতে হবে।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার কর্মসূচি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এভাবে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। দিনক্ষণ ঠিক না করে ঈদের পর, পূজার পর আন্দোলনের কথা না বলে এখনই মাঠে নামা উচিত। দলের  হাইকমান্ডকে এটা বুঝতে হবে।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘কিছু না হওয়ার চেয়ে এটা ভালো। সবাই যদি উদ্বুদ্ধ হয় সেটাও তো খারাপ না। যদিও সবার প্রত্যাশা আরো কার্যকর কর্মসূচি।

এদিকে দীর্ঘদিন আইনি চেষ্টা চালিয়েও জামিনের ব্যবস্থা করাতে না পেরে অনেকটা হতাশ খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। তারা প্রায়ই বলছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনিভাবে সম্ভব নয়। সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে তার মুক্তি হতে পারে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমরা আইনের সবগুলো দিক থেকে চেষ্টা করেছি। কিন্তু বারবার জামিন আটকে দেয়া হয়েছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি। তবে কতটুকু সফল হওয়া যাবে তা সময় বলে দেবে।’

অন্যদিকে দলের প্রভাবশালী নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘সরকারের কূটকৌশলের কারণে খালেদা জিয়া জামিন পাচ্ছেন না। তারপরও আমাদের আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। পাশাপাশি আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ শেষ পর্যন্ত আন্দোলন ছাড়া বেগম জিয়ার মুক্তি অর্জন করা সম্ভব হবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়