শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি: কী পাচ্ছে বাংলাদেশ, কী হারাতে পারে? ◈ রাতেই সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা (ভিডিও) ◈ চাপাতি হাতে ব্যাগ ছিনিয়ে পুলিশের সামনেই হেঁটে গেলো ছিনতাইকারী, ভিডিও ভাইরাল ◈ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগার নায়ারা রিফাইনারির ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা ◈ রাতের আকাশে ভেসে উঠলো ‘নাটক কম করো পিও’ (ভিডিও) ◈ জটিল ভয়ানক যে রোগে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! ◈ কুড়িগ্রামে চাঁদা দাবি করা জামায়াতের সেই নেতা সাময়িক বহিষ্কার ◈ বড়াইগ্রামে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে দুই পরীক্ষার্থী ফেল! ◈ টাঙ্গাইলে পুলিশ হেফাজতে বিএনপি নেতার রহস্যজনক মৃত্যু ◈ এনসিপি’র মার্চ টু গোপালগঞ্জ তলিয়ে দেখা দরকার: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

প্রকাশিত : ২৩ মে, ২০১৯, ০৯:০৮ সকাল
আপডেট : ২৩ মে, ২০১৯, ০৯:০৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পশ্চিমবঙ্গে গেরুয়া ঝড়, বিজেপির বিপুল উত্থান, বিজয়ীদের অভিনন্দন মমতার

আসিফুজ্জামান পৃথিল : ভারতের লোকসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিকে এগিয়ে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। তাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য বলা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের অভূতপূর্ব জয়ের সম্ভাবনাকে। এই রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও দলটির বিপুল উত্থান ঘটেছে। তৃণমূলের দূর্গ বলে পরিচিত রাজ্যটিতে এতোটা ভালো ফল করার কথা আগে কখনও ভাবেনি গেরুয়ারা।

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে মাত্র ২টি আসন পেয়েছিলো বিজেপি। তৃণমূলের আসন ছিলো ৩৪টি। কংগ্রেস পেয়েছিলো ৪টি। আর এককালের ক্ষমতাশালী বামেরা পেয়েছিলো মাত্র ২টি আসন। তবে, ভোট গননায় সবাইকে চমকে দিয়েছে বিজেপি। ৪২ আসনের এই রাজ্যে এবার তুণমূল ১২ আসন হারিয়ে এগিয়ে আছে ২২ আসনে। নতুন করে ১৭ আসনে এগিয়ে থেকে তৃণমূলকে প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে বিজেপি। দলটির এগিয়ে থাকা আসন এবার ১৯। ৩টি আসন হারিয়ে কংগ্রেস এবার এগিয়ে মাত্র ১টি আস।আর বামজোট একটিও আসন পাবে না বলেই মনে হচ্ছে। অথচ রাজ্যটি একসময় লালদূর্গ বলে পরিচিত ছিলো।

এখনও পর্যন্ত যা ভোটপ্রাপ্তির হার, তাতে বিজেপির ভোট ৩৯ শতাংশের আশেপাশে। তৃণম‚লের ভোটপ্রাপ্তির হার অবশ্য বেশি, ৪৫ শতাংশের কাছাকাছি। শাসক দলের ভোটপ্রাপ্তির এই হার বেশ কিছুটা মিলছে ২০০৯ সালের নির্বাচনের সঙ্গে। সে নির্বাচনে বামেদের বিপর্যস্ত করে তৃণম‚ল ইঙ্গিত দিয়েছিল, বাংলার পরিবর্তন আসন্ন। তৃণম‚লের ভোটপ্রপ্তির হার ছিল ৩১.১৮ শতাংশ। তবে সে বার রাজ্যের ২৮টি আসনে লড়েছিলো তারা। বাকি ১৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল তৃণম‚লের তৎকালীন জোটসঙ্গী কংগ্রেস এবং কংগ্রেস সে বার পেয়েছিল ১৩.৪৫ শতাংশ ভোট। আর তখনকার শাসক দল বামফ্রন্টের প্রাপ্ত ভোটের হার সে বার ছিল ৪৩.৩০ শতাংশ। অর্থাৎ এ বার তৃণম‚ল যে রকম ভোট পেতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলছে, তার কাছাকাছি।

এদিকে ভোট গননার সময় এই বিষয়ে টুইটারে পোস্ট করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এই পোস্টে ছিলো সমাসন্ন হারে বিষাদের ছায়া। তৃণমূল নেত্রী লিখেছেন, ‘বিজয়ীদের অভিনন্দন। পরাজিত হওয়া মানেই হার নয়। বিষয়টি পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা করা দরকার। তারপর নিজেদের মতামত জানাবো। আগে গণনা প্রক্রিয়া শেষ হোক। মিলিয়ে দেখা হোক ভিভিপ্যাটগুলো।’ অর্থাৎ রাজ্যে নিজেদের হার একরকম স্বীকার করেই নিলেন দাপুটে এই রাজনীতিবীদ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়