মঈন মোশাররফ : পাঁচ মাস আগে সম্পন্ন হওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বৈধ হয়নি। তাহলে এর মধ্যে কি রাজনীতি বা আদালতে এমন কিছু ঘটেছে যে, খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র এবার বৈধ হবে? কেউ কেউ অবশ্য বিষয়টিকে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা মনে করছেন। তবে বিএনপির এক আইনজীবীর দাবি, সমঝোতা নয়, আইনগতভাবেই খালেদা জিয়ার মনোনয়ন এবার বৈধ হবে।
খালেদা জিয়ার প্রধান আইনজীবী ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বৃহস্পতিবার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে যখন কারাগারে পাঠানো হয় তখন তার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা ছিলো। পরে আরো চারটি মামলা যুক্ত করা হয়েছে। এই মুহূর্তে খালেদা জিয়া চারটি মামলা বাদে সবগুলো মামলায় জামিনে আছেন। এই চারটির মধ্যে দুটির নিম্ন আদালত থেকে রায় হয়েছে, অন্য দুটি মানহানির মামলা। মানহানির মামলা দুটির শুনানি বুধবার হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু একেবারেই অন্যায়ভাবে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতের কাছে শুনানির জন্য এক মাস সময় চান। অথচ এই মামলা দু'টি ব্যক্তির মামলা, রাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। এছাড়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট্রের মামলা হাইকোর্টে শুনানির অপেক্ষায় আছে। আর জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্টের মামলা আপিল বিভাগে আছে।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার পাননি। কারণ আইনে সুস্পষ্ট বলা আছে, উচ্চ আদালত থেকে কেউ দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হলে তিনি পরবর্তী ৫ বছর নির্বাচন করতে পারবেন না। খালেদা জিয়ার সাজা ২ বছরের বেশি এটা সত্যি। কিন্তু তিনি তো সর্বোচ্চ আদালত থেকে দোষী সাব্যস্ত হননি। উচ্চ আদালতে মামলা চলাটাও আইনের অংশ। আদেশ না হওয়া পর্যন্ত তাকে সাজাপ্রাপ্ত বলা যাবে না। তখন তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছিলো এই গ্রাউন্ডে যে, উনি ভোটের দিন নির্বাচনে বাধা দিতে পারেন। অথচ উনি কারাগারে। এই কারণে বলি, নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে তাদের গ্রহণযোগ্যতা অনেকাংশেই নষ্ট করে ফেলেছে। এখন কিছু রিকভারির করার সুযোগ এসেছে। খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে তারা এই কাজটি শুরু করতে পারে। সম্পাদনায় : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :