নুর নাহার : অবশেষে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীদের ভোগান্তির অবসান হতে যাচ্ছে। প্রস্তুত দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতী সেতু। আগামী ২৫ মে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীর ওপর নির্মিত দ্বিতীয় মেঘনা সেতু ও কুমিল্লার দাউদকান্দিতে গোমতী নদীর ওপর নির্মিত দ্বিতীয় গোমতী সেতু খুলে দেয়া হচ্ছে। নিউজ ২৪
ওইদিন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নবনির্মিত সেতু দু’টি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতু দু’টি খুলে দিলে ঈদুল ফিতরে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা অনেকটা যানজটমুক্ত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, আগামী ২৫ মে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নবনির্মিত দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতু এবং জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দুটি সেতু, দুটি ফ্লাইওভার এবং চারটি আন্ডারপাস যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেবেন।
স্থানীয় সূত্রমতে, জাতীয় এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন ৩৫ হাজারেরও বেশি যানবাহন চলাচল করে। গোমতী-মেঘনা এ দুই সেতুর টোলপ্লাজা অতিক্রম করতে গিয়ে যানজটের মুখোমুখি হতে হয় যাত্রীদের। নিত্যদিনের যানজটের কারণে মহাসড়কটি মহাভোগান্তিতে রূপ নিয়েছে। বিগত পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে চলমান এ ভোগান্তির অবসানে ২০১৬ সালে দ্বিতীয় গোমতী-মেঘনা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার অর্থায়নে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সাড়ে ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে গোমতী নদীর ওপর ১৭টি স্প্যানের ১ হাজার ৪১০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৭ দশমিক ৭৫ মিটার প্রস্থের দ্বিতীয় গোমতী সেতু এবং সাড়ে ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে মেঘনা নদীর ওপর ১২টি স্প্যানের ৯৩০মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৭ দশমিক ৭৫ মিটার প্রস্থের দ্বিতীয় মেঘনা সেতু নির্মাণ করা হয়। প্রায় সাড়ে ৩ বছর ধরে চলে ৪১ তম মাসে এসে শেষ হয় সেতু দু’টির নির্মাণ কাজ।
আপনার মতামত লিখুন :