নুর নাহার : মহাসংকটে সরকারি চিনিকলগুলো। উৎপাদন বন্ধ থাকায় বেশ কয়েকটি চিনিকলের শ্রমিকরা বেতন পান না প্রায় চার মাস। আবার আখ দিয়েছেন যে সব শ্রমিক কোটি কোটি পাওনা তাদেরও। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে হচ্ছে দিন দিন। যদিও অবিক্রিত চিনি বিক্রির উদ্যোগ নিয়ে যাবতীয় পাওনা মেটানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। যমুনা টিভি
জয়পুহাট চিনিকলের শ্রমিক মিজানুর রহমান। চার মাস ধরে বেতন নেই তাই ব্যাংক লোনের জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু তাও পাচ্ছেন না। মিজানের মতো একই অবস্থা চিনিকলের কয়েক’শ শ্রমিকের। বেতন নেই তাই কাটছে মানবেতর জীবন। মিল কর্তৃপক্ষের হিসেবে শ্রমিদের চার মাসের বেতন বাবদ বকেয়া প্রায় ৫ কোটি টাকা। আর কষ্টের ফলানো আখ যারা মিলে দিয়েছেন সেই চাষীদের পাওনা সাড়ে ৭ কোটি টাকা।
চিনিকল শ্রমিকেরা বলেন, চার মাস থেকে বেতন পাইনি তাই দোকানে বাকি খরচ করে খাচ্ছি। কবে পাবো এখনো কোনো নিশ্চয়তা নেই।জয়পুরের মতো দশা গাইবান্ধা মহিমাগঞ্জ চিনিকলেরও। শ্রমিকরা বেতন পাচ্ছেন না চার মাস। ঈদের আগে বকেয়া পাবেন কিনা তা নিয়েও আছে সংশয়।
গাইবান্ধা শ্রমিকেরা বলেন, বেতন পাওয়ার কোনো খবরই নাই কবে দিবে তাও জানি না । শুধু বলে আসলেই দেয়া হবে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, বর্তমানে দেশের চিনিকল গুলোর উৎপাদন ক্ষমতা দুই লাখ টন। তবে উৎপাদন হয় অর্ধেকেও অনেক কম। আবার বিক্রিও হয় না বেশির ভাগ চিনি। কারণ আমদানি করা বা বেসরকারি মিলে উৎপাদিত চিনির চেয়ে সরকারি কলে উৎপাদিত চিনির দাম অনেক বেশি। প্রতি বছরেই তাই আটকে যায় শ্রমিক আর চাষীদের পাওনা।
জয়পুরহাট চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, চিনি ৫০ টাকা দরে বিক্রি করার জন্য বলা হয়েছে। চট্টগ্রামে ৪৫ টাকা দরে চিনি বিক্রি করা হচ্ছে এই চিনিটা যত তাড়াতাড়ি বিক্রি হয়ে যাবে ততো তাড়াতাড়ি শ্রমিক ও চাষীদের বেতন দিতে পারবো।
দেশের মোট ১৫টি সরকারি চিনি কলের মধ্যে ১৪টি লোকসানি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে শুধু মাত্র কেরু এন্ড কোম্পানী লাভের মুখ দেখছে তবে তা চিনি উৎপাদন করে নয়। লাভ করছে কেরু ডিসটিলারি উইনিট। সম্পাদনা : জামাল
আপনার মতামত লিখুন :