শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ২৩ মে, ২০১৯, ০৩:৩০ রাত
আপডেট : ২৩ মে, ২০১৯, ০৩:৩০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বগুড়ার শেরপুরে নেসকোর বিদ্যুতের লাইন যেন মরণ ফাঁদ!

আবু জাহের, বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরে নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানীর (নেসকো) অবহেলার কারণে বিদ্যুতপৃষ্ঠ হয়ে কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী লি. এর বিদ্যুতের সঞ্চালন কাজ চলছে বাঁশের খুটি দিয়ে। বাঁশের খুঁটি বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনের নজরে পড়ছে না। দুর্নীতির আড়াল করতেই বিষয়টি তারা আমলে নেননি। ঝুঁকিপূর্ণ এ সঞ্চালন ব্যবস্থা পূর্বেও কেড়ে নিয়েছে অনেক তাজা প্রাণ।

গত ২০ মে সোমবার দুপুরে খানপুর মধ্যপাড়া গ্রামে ইদ্রিস আলী ঘোতা (৪০) নামের এক কৃষক বিদ্যুতপৃষ্ট হয়ে মারা গেছে। কয়েক বছরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হয়েছেন শিশু-বৃদ্ধ নারীসহ অনেকেই। ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের ভয়াবহতা থেকে গবাদিপশু পর্যন্ত রক্ষা পায়নি। হতাহতের এসব ঘটনায় স্থানীয় মানুষ বিদ্যুৎ বিভাগের উদাসিনতা ও গাফিলতিকে দায়ী করেছেন।

কিছু অসাধু কর্মকর্তা বিদ্যুত অফিসের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্রভাবে বাঁশের খুঁটি দিয়ে সংযোগ দেয়া হয় বিদ্যুতের লাইন। ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছেন উপজেলার হাজার হাজার মানুষ। সঞ্চালনের ভেঙে পড়া এই ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে আখের গোছাচ্ছেন বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বরত এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী। সঞ্চালন লাইন খুলে দিয়েছে বিদ্যুৎবিভাগের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর ভাগ্য। সামান্য ঝড়, বাতাস, বৃষ্টি হলেই বিদ্যুতের তারগুলো মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ফলে এসব তারই মৃত্যুর ফাঁদ হয়ে দাঁড়ায় স্থানীয় গ্রামবাসীদের। আর আয় রোজগারের পথ খুলে যায় ওই কর্মকর্তা কর্মচারীর।

কিছু অসাধু কর্মকর্তা অর্থের লোভে মানুষের জীবন নিয়ে খেলতে কোন দ্বিধা না করে এতটাই নাজুক অবস্থায় আন্দিকুমড়া পূর্বপাড়া দীর্ঘ প্রায় ১ কিঃ মিঃ গাছের সঙ্গে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে বিদ্যুত লাইন সরবরাহ করছে। দড়িমুকুন্দ থেকে রাজবাড়ী গ্রামের ধানের ক্ষেতের ভিতর দিয়ে বাঁশের খুঁটি দিয়ে বিদ্যুত লাইন সরবরাহ করছে সেই লাইনের তার মাটি ছুয়েছে। শৈল্লাপাড়া গ্রামে গাছ ও ঘরের ডাসা ও বাটাম (আঞ্চলিক ভাষা) সঙ্গে তার পেঁচিয়ে বিদ্যুত লাইন সরবরাহ করছে। এ সঞ্চালন ব্যবস্থায় দুর্ঘটনার ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এসকল এলাকাবাসী।

গাড়ীদহ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার আনোয়ার হোসেন বাবু বলেন, ঝুকিপূর্ণভাবে বাঁশের খুটিতে চলছে বিদ্যুৎ সঞ্চালন, বিষয়টি বিদ্যুৎ বিভাগকে বারবার অবগত করা হলেও তারা কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

 

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়