শিরোনাম
◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫

প্রকাশিত : ২২ মে, ২০১৯, ১১:১০ দুপুর
আপডেট : ২২ মে, ২০১৯, ১১:১০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রোজাদারের জন্যেও খাবার অপচয়ের সুযোগ নেই

আমিন মুনশি : অনেককে বলতে শোনা যায়, ‘রোজাদারের খাবারের কোনো হিসাব হবে না...’ এটি একটি ভুল কথা। খাবারের হিসাব বলতে সাধারণত খাবারের অপচয় বোঝায়। আর কুরআন ও হাদিসে এমন কোনো কথা নেই যে, রোজাদার যদি খাবার অপচয় করে তাহলে তার কোনো হিসাব হবে না। বরং অপচয় ও অপব্যয়ের বিরুদ্ধে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বারবার সতর্ক করা হয়েছে। মানুষ যাতে এই খারাপ প্রবণতা থেকে দূরে থাকে সে জন্যই এ দুটি বিষয় সম্পর্কে এতো বেশি সতর্ক করা হয়েছে।

অপব্যয়কারীদের পবিত্র কোরআনে শয়তানের ভাই হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আত্মীয়স্বজনকে তার হক দান কর, অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও এবং কিছুতেই অপব্যয় কর না। নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই। শয়তান স্বীয় পালনকর্তার প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ।’ (সূরা বনি ইসরাইল ২৬-২৭) অপব্যয়ের বিরুদ্ধে সতর্ক করে আল্লাহ পাক বলেছেন, ‘হে বনী আদম! তোমরা প্রত্যেক সালাতের সময় সাজসজ্জা পরিধান করে নাও, খাও এবং পান করো তবে অপচয় করো না। নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না।’ (সূরা আরাফ : ৩১)

অপচয় সম্পর্কে ইসলামের কঠোর মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে রাসুল সা. এর হাদিসে। যাতে অজু করার সময়ও যেন পানির অপচয় না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ইসলামে অপচয়-অপব্যয়ের পাশাপাশি কৃপণতারও বিরোধিতা করা হয়েছে। ব্যয়ের ক্ষেত্রে ইসলামে মধ্যপন্থা অনুসরণকে উৎসাহিত করা হয়েছে। এরশাদ করা হয়েছে ‘এবং যখন তারা ব্যয় করে তখন তারা অপচয় করে না, কার্পণ্যও করে না। বরং তারা এ দুটির মাঝে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করে।’ (সূরা ফুরকান : ৬৭)

সুতরাং রোজাদার হোক বা যেই হোক খাবার বা যে কোনো বস্তুর অপচয় করা থেকে বেঁচে থাকা জরুরি। যে ব্যক্তিই খাবার বা যে কোনো বস্তু অপচয় করুক আল্লাহর দরবারে তাকে এর হিসাব দিতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়