মঈন মোশারফ : সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলেই পেশাজীবী সংগঠনগুলো আন্দোলনে নামে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রানের উপায় কী? এ প্রসঙ্গে দুর্নীতির দমন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও ক্যাব-এর সভাপতি গোলাম রহমান বুধবার ডয়চে ভেলেকে বললেন, পেশাজীবীদের নীতি নৈতিকতা থাকা দরকার। কিন্তু দেখা যাচ্ছে অনেক পেশাজীবী নীতি-নৈতিকতার বাইরে গোষ্ঠীস্বার্থকে প্রাধান্য দিচ্ছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
তিনি বলেন, রাজনীতির ছত্রছায়ায় সাধারণত এসব হয়। সরকার যদি কঠোর হয়, তাহলে এই ধরনের আচরণ ব্যাপকতা পায় না। কিন্তু সরকার যদি নমনীয় হয়, তাহলে এই ধরনের কার্যক্রম বিস্তার লাভ করে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে সরকার না হলেও সরকারের মধ্যে বিশেষ স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এদের প্রতি অনেক সময় নমনীয় মনোভাব পোষণ করে। অনেক সময়ই দেখা যায়, একজন পরিবহণ শ্রমিক অপরাধ করলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে সবাই এক হয়ে আন্দোলন শুরু করেন। এটা গর্হিত, এটা অনৈতিক ও এটা অনাকাঙ্খিত। এটা আইনের প্রতি অবজ্ঞা। এজন্য সরকারের উচিত আইনানুগভাবে এসব ক্ষেত্রে কঠোর হওয়া।
তিনি আরো বলেন, পেশাজীবী আর ব্যবসায়ীদের বিষয়টা এক রকম না। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর হওয়া দরকার। বাজার যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া সরকারের দায়িত্ব। ব্যাপক অর্থে যেটা দুর্নীতি, সেটার মধ্যে এটা পড়ে। আমরা সাধারণ মানুষ নীতি নৈতিকতা বহির্ভ‚ত যে কোনো কাজকেই দুর্নীতি মনে করি। কিন্তু সরকারের যে আইন আছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের যে আইন আছে, সেটাতে কিন্তু এই ব্যাপক অর্থে দুর্নীতিকে সংজ্ঞায়িত করেনি। দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনে কিছু শিডিউল অব অপরাধ আছে। সেগুলোকেই শুধুমাত্র দুর্নীতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সম্পাদনায় : এইচ এম জামাল
আপনার মতামত লিখুন :