ফাতেমা ইসলাম : বছরের শুরতে আন্তর্জাতিক বাজারে কমতে থাকে জ্বালানি তেলের দাম। সৌদি আরবের উৎপাদন ও রপ্তানি কমানোর ঘোষণার পর চলতি মাসে ঊর্ধ্বমুখী হয় এ বাজার। এর সাথে সৌদি তেলবাহী ট্যাঙ্কার ও পাম্প স্টেশনে হামলার ঘটনায় আরও দুই দফায় বাড়ে পণ্যটির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৬ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ত্রুড অয়েল বিক্রি হচ্ছে, ৭২ দশমিক ছয় দুই ডলারে। আগামী মাসে এর দাম আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা বাজার বিশ্লেষকদের। চ্যানেল ২৪
বছরের শুরু থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে নিম্নমুখী ছিলো, জ্বালানি তেলের দাম। এই ধারা ঠেকাতে, জুন মাস থেকে উত্তোলন ও রপ্তানি কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় সৌদি আরব। রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেকের পরামর্শে, দৈনিক রপ্তানি ৭০ লাখ ব্যারেলে নামানোর ঘোষণা দেয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। গেলো সপ্তাহে এ ঘোষণার পরই এক দফা বাড়ে, এ জ্বালানি পণ্যের দাম।
এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওয়াশিংটনের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানাতে, যুক্তরাষ্ট্রে তেল রপ্তানি বন্ধের হুঁশিয়ারি দেয় ইরান। তা কার্যকরের আগেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-ফুজায়রা সমুদ্রবন্দরে, সৌদি আরবের তেলবাহী দুইটি জাহাজে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর ৪৮ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই ড্রোন হামলার শিকার হয়, সৌদি আরবের দুইটি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের পাম্প স্টেশন।
দুইটি হামলার জন্যই, ইরান সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়া এবং হুতি বিদ্রোহীদের দায়ী করে, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। তবে এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি ওয়াশিংটন। অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান।
এসব হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। তবে হামলার পর, আন্তর্জাতিক বাজারে দুই দফায় বাড়ে, জ্বালানি তেলের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ। গেলো সপ্তাহে ৬৯ ডলারের কমে বিক্রি হওয়া, প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ত্রুড অয়েল বিক্রি হচ্ছে, প্রায় ৭৩ ডলারে। আর ৬০ ডলারের কমে বিক্রি হওয়া, ডব্লিউটিআই ত্রুড অয়েল বিক্রি হচ্ছে, প্রায় ৬৩ ডলারে।
চলতি মাসের মধ্যে, জ্বালানি পণ্যটির দাম আরো বাড়তে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থা। আর বিশ্লেষকরা বলছেন, জুন মাসে সৌদি আরবের উৎপাদন ও রপ্তানি কমানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে, প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের দাম ৭৫ ডলার ছাড়িয়ে যাবে। সম্পাদনা : কাজী নুসরাত
আপনার মতামত লিখুন :