শিরোনাম

প্রকাশিত : ২০ মে, ২০১৯, ০৪:৩৫ সকাল
আপডেট : ২০ মে, ২০১৯, ০৪:৩৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বেশিরভাগ টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারগুলোতেই নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক ও যন্ত্রপাতি

ফাতেমা ইসলাম : দেশ থেকে যে পরিমাণ অভিবাসন হয় তার প্রায় ৮০ ভাগই মাত্র ২০টি জেলার দখলে। এই বৈষম্য দূর করতে, প্রতিটি উপজেলা থেকে বছরে কমপক্ষে ১ হাজার কর্মী পাঠানোর ইশতেহার দেয় সরকার। এজন্য ৭০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থাকার পরও, তৈরি করা হচ্ছে আরও ৪০টি। কিন্তু শিক্ষক ও যন্ত্রপাতির অভাবে মিলছে না, কাঙ্ক্ষিত ফল। এতে ব্যাহত হচ্ছে বিদেশে দক্ষকর্মী পাঠানোর সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, যেসব জেলা থেকে বেশি জনশক্তি বিদেশে যায়, সেগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।

তিনি আরো বলেন, বিদেশে কর্মসংস্থান ইস্যুতে সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নেরও চেষ্টা চলছে।

বিএমইটির তথ্য বলছে, এসব টিটিসির বেশিরভাগেই ট্রেড থাকলেও শিক্ষক নেই, কিংবা শিক্ষক থাকলেও নেই যন্ত্রপাতি। আবার কোনটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্থাপিত হওয়ায় নেই প্রশিক্ষণার্থী। হয় না নিয়মিত ক্লাস। টিটিসিগুলোর বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনার অভিযোগও আছে।

গেলো বছর যে সাত লাখ ৩৪ হাজার বাংলাদেশি কাজ নিয়ে বিদেশে গেছেন, তার সবচেয়ে বেশি সাড়ে ৬২ হাজারই কুমিল্লা থেকে। আর সবচেয়ে কম রাঙ্গামাটি থেকে মাত্র ৩৫৭ জন।

বিদেশ গমনে এই বৈষম্য দূর করতে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা ছিলো, প্রত্যেক উপজেলা থেকে বিদেশে কাজ নিয়ে যাবেন বছরে কমপক্ষে ১ হাজার কর্মী। যেখানে অগ্রাধিকার পাবেন অনগ্রসর জেলার বাসিন্দারা। তাই প্রত্যেক জেলায় অন্তত একটি করে ৭০টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার থাকার পরও আরো ৪০টি টিটিসি তৈরি করছে সরকার।

এ অবস্থায় ব্যাহত হচ্ছে প্রশিক্ষিত জনশক্তি তৈরি। ফলে সরকার প্রতি উপজেলা থেকে যে ১ হাজার দক্ষকর্মী বিদেশে পাঠানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সম্পাদনা: কাজী নুসরাত

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়