স্পোর্টস ডেস্ক: পর পর দুই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিলো ইংল্যান্ড দল। তার পর থেকেই শক্তিশালী দল হিসেবে পরিণত হয়ে আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ স্থান দখল করে রেখেছে। আসন্ন বিশ্বকাপ হবে তাদের দেশেই। এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে খুবই ঐক্যবদ্ধ দল হিসেবে বিবেচনা করছেন দলটির অধিনায়ক ইয়ন মরগান। এর ফলে আসন্ন বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই বলেই মনে করেন তিনি।
আগামী ৮ জুন কার্ডিফে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ। টাইগারদের মুখোমুখি হওয়ার আগে, ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ দল থেকে সতর্ক ইংলিশরা। ইংলিশ অধিনায়ক বলেন, ‘বাংলাদেশ খুবই ঐক্যবদ্ধ দল। বিশ্বকাপের পুরো আসর জুড়ে বাংলাদেশকে হালকা ভাবে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
বাংলাদেশকে নিয়ে সতর্কতার আরেকটি বড় কারণ, এর আগে তিনবার বাংলাদেশের বিপক্ষে হারের স্বাদ পেয়েছে ইংল্যান্ড। তিনটি জয়েই দারুণ অবদান রেখেছিলেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাশরাফি মর্তুজা ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা।
এবারের বিশ্বকাপেও তারা আছেন। ফলে দীর্ঘদিন ধরে তাদের একসাথে খেলার অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপে যেকোনো দলকেই ভোগাতে পারে। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ রানের জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে ২৩৬ রানের ছোটো পুঁজিটাকেই কঠিন করে তুলেছিলেন টাইগার বোলাররা। সেবার মাশরাফি-সাকিবদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে ২৩১ রানেই গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড।
এরপর ২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে হারের স্মৃতি এখনও তরতাজা ইংল্যান্ডের। ২০১১ সালে বাংলাদেশের মাটিতে ইংল্যান্ডকে ২ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছিল স্বাগতিকরা। এই ম্যাচে বল হাতে ২ উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতে সাকিব করেছিলেন ৩২ রান তাছাড়া তামিম ইকবাল ৩৮ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অপরজিত ২১ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন।
এরপর ২০১৫ সালের বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের বিপক্ষে হারতে হয়েছিল তাদের। মাহমুদউল্লাহর ১০৩ রানের ইনিংসে ২৭৫ রানের পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর রুবেল হোসেন, মাশরাফি ও তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইংলিশরা গুটিয়ে গিয়েছিল ২৬০ রানে। ফলে ১৫ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল বাংলাদেশ।
আপনার মতামত লিখুন :