জাবের হোসেন : দিগন্ত জোরা মাঠের পাকা ধানে চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার কথা ছিলো কৃষকদের। কথা ছিলো সোনালী ঢেউয়ে প্রাণ জুড়িয়ে যাওয়ার। কিন্তু ধানের দামের ধসে তাদের সব স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়েছে। মানিকগঞ্জের মূলজান এলাকার ধানে পাক ধরেছে। এখনি কাটতে হবে, না হয় ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু ধান ঘরে তোলার তোড়জোড় নেই কৃষকদের। বাংলাভিশন টিভি
কৃষকরা বলেন, ধানের দাম অনেক কম। আমাদের অনেক টাকা লোকসান হয়েছে। আমরা আর ধান চাষ করবো না। সারের দাম বেশি, ধানের দাম কম। আগামীতে ধানের ক্ষেতে অন্য ফসল চাষ করবো। ভূট্টার চাষ করবো।
কৃষকদের প্রতি মণ ধান উৎপাদনে খরচ হচ্ছে ৯শ থেকে সাড়ে ৯শ টাকার মতো। এর মধ্যে রয়েছে জমি প্রস্তুত, চারা রোপণ, সার, অগাছা দমন, সেচ ও শ্রমিকের মজুড়ি। এতে ধরা হয়নি কৃষকের নিজেদের শ্রম। তারপরও সাড়ে ৯শ টাকা খরচ করে এক মণ ধান ৬শ টাকায় বিক্রি করতে হবে।
কৃষকদের অভিযোগ, বিঘা প্রতি ধানে লোকসান গুণতে হচ্ছে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। ঋণ শোধ করতে গিয়ে পথে বসার উপক্রম।
ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে বিক্ষোভ করেছেন জেলার কৃষকরা। তারা মানব বন্ধন করছেন। অবিলম্বে মোটা ধানের দাম মণ প্রতি ৮শ টাকা ও চিকন ধাণ ৯শ টাকা করার দাবি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :