শিরোনাম
◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির 

প্রকাশিত : ১৯ মে, ২০১৯, ০৭:১২ সকাল
আপডেট : ১৯ মে, ২০১৯, ০৭:১২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কমতে শুরু করেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ !

ডেস্ক রিপোর্ট  : দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ নেমে এসেছে ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। গত ৮ই মে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩০.৯৯ বিলিয়ন ডলারে। এর মধ্য দিয়ে ২০১৬ সালের পর এবারই প্রথম ৩১ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামলো রিজার্ভের পরিমাণ। আমদানির বিপুল ব্যয় পরিশোধ করতে দুই বছর ধরেই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪০০ কোটি ডলার বিক্রি করতে হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষেত্রে সাধারণত গ্রস ও নিট, এ দুই ধরনের পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়। এর মধ্যে সম্পদ থেকে দায় বাদ দিয়ে নিট রিজার্ভ হিসাব করা হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক সবসময়ই গ্রস রিজার্ভের পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো রিজার্ভের নিট হিসাবকে প্রকৃত রিজার্ভ হিসেবে গণ্য করে। আইএমএফের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের নিট রিজার্ভের পরিমাণ ২৮ বিলিয়ন ডলার। এ পরিমাণ নিট রিজার্ভ দিয়ে দেশের ৫ মাসের কম সময়ের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা যাবে। আইএমএফের পর্যবেক্ষণেও আমদানি ব্যয় বাড়ার কারণে দেশে রিজার্ভের সক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১৬ সালের আগস্টে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। এরপর রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে প্রায় ৩৪ বিলিয়ন পর্যন্ত উঠেছিল। কিন্তু ২০১৮ সাল থেকেই রিজার্ভের অর্থে টান পড়তে থাকে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের তুলনায় আমদানি ব্যয় বেশি হওয়ায় দেশের চলতি হিসাবের ব্যালান্স নেমে আসে নেতিবাচক পর্যায়ে। অস্বাভাবিক আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসেই (জুলাই-মে) রিজার্ভ থেকে ২১৫ কোটি ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৭-১৮ অর্থবছরেও রেকর্ড ২৩১ কোটি ডলার বিক্রি করতে হয়েছিল।

২০১৮ সালের ৮ই মে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩১.৯২ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের ৩০শে এপ্রিলও রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩২.১২ বিলিয়ন। এরপর গত সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মার্চ-এপ্রিল মেয়াদের ১২৪ কোটি ১০ লাখ ডলারের আমদানি বিল পরিশোধ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে রিজার্ভের পরিমাণ নেমে আসে ৩০.৯৯ বিলিয়ন ডলারে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ- এ ৯টি দেশ বর্তমানে আকুর সদস্য। আকুর অন্যান্য সদস্য দেশ থেকে বাংলাদেশের পণ্য আমদানির বিল দুই মাস পরপর সংস্থাটির মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়।

এদিকে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে এক হাজার ৩৩০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আগের অর্থবছরে এ সময়ে এসেছিল এক হাজার ২০৯ কোটি ডলার। একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ১২১ কোটি ডলার। শতকরা হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০.০১ শতাংশ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা বৃদ্ধির ফলে রেমিট্যান্স আহরণে ব্যাংকগুলোর তৎপরতা বেড়েছে। ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠাতে নানা উপায়ে উদ্বুদ্ধ করছেন ব্যাংকাররা। হুন্ডি প্রতিরোধেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স বাড়ছে। একক মাস হিসেবে এপ্রিলে এসেছে ১৪৩ কোটি ডলার। আগের বছর একই সময়ে ছিল ১৩৩ কোটি ডলার।

উৎসঃ মানবজমিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়