ইমরান হোসাইন: মৌসুমের শুরুতে বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধের ঘোষণায় উপকূলীয় এলাকা বরগুনার পাথরঘাটার জেলে সম্প্রদায়ের মধ্য হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করেছে। জেলেরা ফিশিং বোট ও জাল মেরামত করে সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতির ঠিক মুহূর্তে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে আগামী ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগরে সব ধরণের মাছ ধরা সম্পূর্ণভাবে নিষেধাজ্ঞার জারি করা হয়। এতে জেলে ও মৎস্যজীবীরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। প্রতিবছর ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ইলিশ শিকারের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এ বছর ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় জেলেদের না খেয়ে জীবনযাপন করতে হবে বলে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
সরকারের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে গত ১৭ ও ২৭ এপ্রিল বরগুনার পাথরঘাটায় মৎস্যজীবি ও জেলে মৎস্য ব্যবসার সাথে জড়িত কয়েক হাজার শ্রমিক অংশ নিয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কয়েকটি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী বরাবর লিখিত স্মারকলিপি ও দেয়া হয়।
জেলেরা অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশের জলসীমায় ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দিলেও পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমানায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে সরকারের নিষেধাজ্ঞা না মেনে বঙ্গোপসাগরসহ উপকূলীয় এলাকায় এসে ছোট-ছোট মাছ শিকার করে নিয়ে যায়। এমন অভিযোগ তুলে সরকারের কাছে এ গুলো বন্ধের আহ্বান জানান।
ইলিশ আহরণের মৌসুমে জেলেদের সেই আশা শঙ্কায় পরিণত হয়েছে। বুক ভরা হতাশা নিয়ে ফিশিং বোট ঘাটে অপেক্ষা করছেন শত শত জেলে। মৌসুমের শুরুতেই অবরোধ ঘোষণা করায় ফুঁসে উঠেছে উপকূলসহ বঙ্গোপসাগর কেন্দ্রীক মৎস্য আহরণকারী পাথরঘাটার। তাই জেলে সম্প্রদায়ের জীবন-জীবিকার কথা ভেবে সরকারকে বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করার দাবি জানান তারা।
বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল মন্নান জানান, ৬৫টি দিন মাছ ধরা বন্ধে আমাদের মাঝে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। হঠাৎ এরকম সিদ্ধান্তে উপকূলের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। সাগর-উপকূলে আমাদের মাছ ধরা বন্ধ করা হলেও ভারতীয় জেলেরা বসে থাকবে না। তারা আমাদের সীমানায় অনুপ্রবেশ করে দেদারছে ইলিশ ধরবে।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা মৎস কর্মকর্তা না থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :