নুর নাহার : ডাকসুর বাজেট বৈঠক হবে ৩০ মে। নতুন কমিটি দায়িত্ব নেয়ার প্রায় দু'মাস পর হচ্ছে, এই বৈঠক। তবে ছাত্র সংসদকে বিশ্ববিদ্যালয় যে অর্থ দিচ্ছে, তা ইশতেহার বাস্তবায়নের জন্য যথেষ্ট নয়। এমন অভিযোগ করেছেন, ভিপি ও জিএস। - চ্যানেল ২৪
প্রায় তিন যুগ পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের বন্ধ জানালা খুলেছে ঠিকই। কিন্তু সচল হতে দরকার অর্থের। নির্বাচনের দু'মাস পেরুলেও অর্থ জোগাড়ে হয়নি কোন বাজেট বৈঠক। যদিও নির্বাচিত নেতৃত্বের সব ইশতেহার যেন বাস্তবায়ন হয় তেমন একটি বাজেট চায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, হলের বাজেট বাড়ানো দরকার। কারণ হলের খাবারের মান দিন দিন নিম্নমানের হচ্ছে। তাছাড়া হলে উন্নতমানের পুষ্টিকর খাবার নেই। তাই বাজেট প্রনয়ণে খাবারের মানের দিকে একটু খেয়াল রাখা দরকার। আধুনিক যুগ উপযোগী কিছু হল দরকার যাতে করে শিক্ষার্থীদের যে আবাসন সংকট রয়েছে তার সমাধান হয়।
নির্বাচন না হলেও, প্রতিবছরই ডাকসু ও হল সংসদের জন্য নির্ধারিত ফি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তবুও অনানুষ্ঠানিক অডিটে দেখা গেছে এই ফান্ডে মাত্র এক-দেড়লাখ টাকা আছে। তবুও বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাদ্দ থেকে এ তহবিলে আসতে পারে লাখ বিশেক টাকা। বহুতলবিশিষ্ট আধুনিক গ্রন্থাগার, পরিবহন সংখ্যা বাড়ানোর মতো নির্বাচিত নেতৃত্বের বড়সড় ইশতেহার পূরণের জন্য এই বরাদ্দ যথেষ্ট নয় বলে অভিমত নেতাদের।
ডাকসু জিএস গোলাম রব্বানী বলেন, ২৮ বছর পর এসেও ডাকসু তহবীলে তেমন কোনো টাকা পাইনি। যা ছিলো দেড় দুই লাখের মতো ছিলো। অনেকে ভাবতে পারে এখানে কোটি কোটি টাকা রয়েছে আসলে তা নয়।
ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, বাজেটে মোটামোটি একটি অর্থ চুড়ান্ত করেছি। এখন তারা টাকাটা দিবে কিনা বা কত দিবে সেটা চুড়ান্ত হয়নি। তাই এটি বলা যাচ্ছে না যে কত পাচ্ছি।
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আকতারুজ্জামান বলেন, ছাত্রদের যে ইউনিয়ন ফি সেটি এক বছরে যা আসে সে টাকাই মূলত বাজেটে বিভিন্ন খাতে ভাগ করে বাজেট প্রণোয়ন করবে। কোষাধ্যক্ষ তাদের সাথে বসে একটি খসড়া বানিয়েছে ৩০মে এই বাজেট নির্ধারণে ঠিক করেছি।
আপনার মতামত লিখুন :