শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৮ মে, ২০১৯, ০৭:৪৪ সকাল
আপডেট : ১৮ মে, ২০১৯, ০৭:৪৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দক্ষিণাঞ্চলে যাত্রীসেবায় ৫২ লঞ্চ

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল : ঈদ-উল ফিতরের উৎসবে ঘরমুখো দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের জন্য নৌপথে বিশেষ সার্ভিস শুরু হবে আগামী ২ জুন থেকে। ৩০ মে সরকারি শেষ কর্মদিবসের পর টানা নয়দিনের ছুটি শুরু হবে ৩১ মে থেকে। তবে ১ জুন শবে কদরের নামাজ শেষে পরেরদিন ২ জুন থেকে বিশেষ সার্ভিস শুরুর পরিকল্পনা করছে নৌযান সংশ্লিষ্টরা।

এজন্য ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নৌযান সংশ্লিষ্ট মালিক সংগঠনগুলো। এবার ঢাকা থেকে বরিশাল ও বিভাগের ছয়টি জেলা শহরে মোট ৫২টি নৌযান যাত্রী পরিবহন করবে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা। এরমধ্যে ঢাকা-বরিশাল রুটে সর্বাধিক ২৩টি লঞ্চ চলাচল করবে। বেসরকারি যাত্রীবাহী নৌযান মালিকদের সংগঠন জাপ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, এবার ঈদে যাত্রীসেবায় আমাদের কোন সমস্যা হবে না। কেননা এবার লঞ্চের সংখ্যা পূর্বের বছরগুলোর তুলনায় বেশি। তিনি আরও বলেন, সরকারি ছুটি ৩১মে থেকে শুরু হলেও নৌযানের বিশেষ সার্ভিস ২ জুন থেকে শুরু হবে।

অপরদিকে রাষ্ট্রীয় নৌযান সংস্থা বিআইডব্লিউটিসি’র বরিশালে উপ-মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ জানান, তাদের সংস্থারও বিশেষ সার্ভিস শুরু হবে শবে কদরের পর। সে হিসেবে ২ অথবা ৩ জুন থেকে বিআইডব্লিউটিসি’র বিশেষ সার্ভিস শুরু হবে। বিআইডব্লিউটিএর বরিশালের ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) কবির হোসেন জানান, বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে বর্তমানে দিবা সার্ভিসসহ মোট ২১টি বেসরকারি লঞ্চ চলাচল করছে। ঈদের আগে এ বহরে আরও দুটি নৌযান যুক্ত হবে। রোটেশন অনুযায়ী বর্তমানে প্রতিদিন ঢাকা ও বরিশাল থেকে আট থেকে ১০টি লঞ্চ বিপরীত গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রী পরিবহন করছে। ঈদের বিশেষ সার্ভিস চলাকালে এ লঞ্চগুলো ডাবল ট্রিপ দেবে। এছাড়া ঢাকা-ভোলা ও ঢাকা-পটুয়াখালী রুটে চলাচল করবে আটটি করে লঞ্চ। ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা রুটে মোট ১৩টি লঞ্চ ভায়া বরিশাল হয়ে ঢাকা রুটে যাতায়াত করবে।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ঈদ সার্ভিসে এমভি কীর্তনখোলা গ্রুপের দুটি, অ্যাডভেঞ্চার গ্রুপের তিনটি, এমভি সুন্দরবন গ্রুপের তিনটি, এমভি সুরভী গ্রুপের তিনটি, এমভি পারাবত গ্রুপের পাঁচটি, গ্রিন লাইন কোম্পানির দুইটি, এমভি কামাল কোম্পানির দুইটি, এমভি মানামী, এমভি টিপু-৭ ও এমভি ফারহান-৮ বরিশাল-ঢাকা রুটে সরাসরি যাত্রীসেবা দেবে। এরমধ্যে গ্রিন লাইন কোম্পানির দুটি ও অ্যাডভেঞ্চার কোম্পানির একটি ক্যাটারেমন দিবা সার্ভিসে থাকবে।

বিআইডব্লিউটিসির উপ-মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আবুল কালাম জানান, সংস্থাটির মোট পাঁচটি জাহাজের মধ্যে এমভি মাহসুদ বিকল হয়ে নারায়ণগঞ্জ ডর্কইয়ার্ডে রয়েছে। ঈদের আগে জাহাজটি সচল করে সার্ভিসে নামানোর সম্ভাবনা রয়েছে। মাহসুদ বহরে যুক্ত হলে বিআইডব্লিউটিসি পাঁচটি জাহাজ দিয়ে ঈদের বিশেষ সার্ভিস পরিচালনা করবে। অন্য জাহাজগুলো হলো পিএস টার্ন, লেপচা, এমভি বাঙালি ও এমভি মধুমতি।

পটুয়াখালী নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা আলম চন্দ্র মিত্র জানান, পটুয়াখালী-ঢাকা রুটে সরাসরি আটটি লঞ্চ বিশেষ সার্ভিস দিবে। যারমধ্যে সুন্দরবন কোম্পানির দুটি, এমভি জামাল-৫, এমভি প্রিন্স অব রাসেল-৪ সহ আটটি লঞ্চ চলাচল করবে। ভোলা নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের টিআই নাসিম আহমেদ জানান, ভোলা-ঢাকা রুটে স্বাভাবিক সময়ে ঢাকা ও ভোলা প্রান্ত থেকে দুইটি করে মোট চারটি লঞ্চ চলাচল করলেও ঈদের আগে ও পরে কমপক্ষে দশদিন আটটি লঞ্চ একসাথে যাত্রীসেবা দিয়ে থাকে। এবারও ওই আটটি লঞ্চ ঈদ সার্ভিসে থাকবে।
অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু: আসন্ন ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের লঞ্চগুলোতে বিশেষ সার্ভিসের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির অগ্রিম টিকিট বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত ১২ মে থেকে ঈদের বিশেষ সার্ভিসের অগ্রিম টিকিটের জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে চাহিদাপত্র বা আবেদন সংগ্রহ করছে সুরভী লঞ্চ কোম্পানি। এ আবেদন গ্রহণের কার্যক্রম চলে ১৬ মে পর্যন্ত। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে বিশেষ সার্ভিসের কেবিন ও সোফার টিকিট যাত্রীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। অপরদিকে গত ১১ মে থেকে সরাসরি যাত্রীদের কাছে স্পেশাল সার্ভিসের টিকিট বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছে অ্যাডভেঞ্চার লঞ্চ কোম্পানি।

সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানির চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের চলাচলরত তাদের তিনটি লঞ্চে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির টিকিট বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এজন্য আগের মতোই আবেদন নেওয়া হয়েছে। পরে যাচাই-বাছাই করে টিকিট নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাত্রীদের হাতে তুলে দেয়া হবে। সালমা শিপিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস জানান, এমভি কীর্তনখোলা, এমভি মানামী, এমভি টিপু ও গ্রিনলাইনসহ অন্যান্য লঞ্চ কোম্পানিগুলো নগদ ভিত্তিতে ঈদ সার্ভিসের টিকিট বিক্রি শুরু করেছে। যারা আগে আসছেন তারাই এসব লঞ্চের টিকিট পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট লঞ্চ কোম্পানির প্রতিনিধিরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়